ঈদের দুইদিন আগে উপজেলার বাঁশাটি এলাকার সাদিয়া মৎস্য হ্যাচারীর মালিক আবু বক্কর সিদ্দিক অরফে সিদ্দিক হাজীর একটি অসামাজিক অবৈধ শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার একটি ভিডিও তিনটি হাত ঘুরে গণমাধ্যমকর্মীর হাতে এসেছে পৌঁছে। এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ হলে উপজেলাজুড়ে আলোচনা সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
জানা যায়,উপজেলার পদুরবাড়ী এলাকার এক মার্কেট মালিকের স্ত্রীর সঙ্গে অসামাজিক অবৈধ শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন উপজেলার প্রভাবশালী মৎস্য হ্যাচারীর মালিক আবু বক্কর সিদ্দিক অরফে সিদ্দিক হাজী। সম্পর্কে ওই নারীর উকিল শ্বশুর তিনি। যা স্বীকার করেছেন,হাজীর সঙ্গে পরকীয়া জড়িয়ে পড়া প্রেমিকা এবং তার স্বামী। গণমাধ্যমকর্মীর হাতে আসা ৪৫ মিটিন ২৬ সেকেন্ডের সেই ভিডিওতে দেখা গেছে,একটি নির্জন বাড়িতে ওই বিবাহিত নারীকে সঙ্গে নিয়ে হ্যাচারি মালিক গল্পগুজব করছেন। পরবর্তীতে উভয়ের মধ্যে আপত্তিকর অবৈধ অসামাজিক সম্পর্কে জড়িত পড়তে দেখা যায়। এর আগে,তাদের মধ্যে অনৈতিক আপত্তিকর অন্তরঙ্গ মূহুর্ত্তের ভিডিও ধারণ করতেই এক যুবককে মোবাইল ফোন অথবা ক্যামেরা রেখে যেতে দেখা যায়। যা ওই ভিডিওতেই তার চেহারার ভিডিও ফুটেজ রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে গণমাধ্যমকর্মীর সঙ্গে কথা হয় প্রেমিক পুরুষ হ্যাচারি মালিক আবু বক্করের সঙ্গে কথা হলে,বিষয়টি প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে দোষ স্বীকার করে তিনি বলেন,যা করেছি সেটা মটেও ঠিক হয়নি। আর যে প্রমাণ রয়েছে। এর চেয়ে কম থাকলেও চলতো। আমি যা করেছি ভুল করেছি,আমি তাকে বিয়ে করে নিব। আমি ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছি। সিদ্দিকের স্বীকারোক্তির কল রেকর্ড ও ফুটেজ প্রতিবেদকের কাছে সংরক্ষিত রয়েছে।
সিদ্দিক পরবর্তীতে প্রতিবেদককে টাকা দিতে চাইলেও প্রতিবেদক রাজি না হলে,তিনি মানহীন মামলা দিবেন বলে সাংবাদিককে হুমকি দিয়ে সিদ্দিক বলেন,ওই মেয়ে ও তার স্বামী অপরাধ স্বীকার করবে না। আপনি যা পারেন করেন গা।
এ বিষয়ে পরকীয়া প্রেমিকা তার নিজের মোবাইল নাম্বার দিয়ে প্রতিবেদকে বিকাল ৭ টা ৪৪ মিনিটের সময় মোবাইলে কল করে মামলার ভয় দেখিয়ে বলেন,অপরাধ করেছে কি না করেছি জনগণ ও আইন বিচার করবে,আপনি কথা বলার কে?
পরকীয়া প্রেমিকার স্বামী স্বীকার করে মার্কেট মালিক তাইজ উদ্দিন বলেন,আপনার নিয়ে মামলা করা হয়েছে। এ নিয়ে আপনার মাথা ব্যাথা কিসের? যা করার আইন করবে।
সিদ্দিক হাজীর একাধিক প্রতিবেশী বলেন,ওদের বিরুদ্ধে এধরনের অনেক অভিযোগ আগেও শোনাগেছে এবং একাধিক নারীর সঙ্গে তার সম্পর্কে রয়েছে। হাজীর বিচার হওয়া দরকার। তিনি বারবার অপরাধ করেন আর টাকা দিয়ে মুখ বন্ধ করে ফেলেন। এই প্রথম তার অপরাধের কথা জনসম্মুখে আসতে সাহস পেয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আতিকুল ইসলাম জানান,ভিডিও খুবই স্পষ্ট। অস্বীকার করার কোন সুযোগ নেই।
 'আই নিউজ বিডি' অ্যাপ
  'আই নিউজ বিডি' অ্যাপ
  
  
 
		 
				 
			



















 
					     
			 
						 
			 
			 
			 
			 
			 
			