বিনোদন ডেস্ক:
ভারতের চলচ্চিত্র জগতে নেমে এসেছে গভীর শোকের ছায়া। প্রয়াত হলেন বলিউডের কিংবদন্তি অভিনেতা ধর্মেন্দ্র। দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন তিনি। গত কয়েকদিন মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন এই বর্ষীয়ান তারকা। সোমবার রাত থেকেই শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। ভেন্টিলেশনে রাখা হয় তাঁকে। তৈরি করা হয় বিশেষ মেডিক্যাল বোর্ডও। তবে সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে মঙ্গলবার সকালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ধর্মেন্দ্র। বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর।
শেষ ছবির মুক্তি আর দেখা হল না তাঁর। সোমবার বিকেল থেকেই হাসপাতালে তৎপরতা বেড়ে যায়। স্বামীকে দেখতে ছুটে আসেন অভিনেত্রী হেমা মালিনী। গোটা দেশ তখন তাঁর আরোগ্যের প্রার্থনায় মগ্ন। কিন্তু ভাগ্যের লিখন অন্য ছিল। কোটি কোটি ভক্তকে কাঁদিয়ে চিরবিদায় নিলেন রূপালি পর্দার চিরসবুজ নায়ক বলিউডের হি-ম্যান ধর্মেন্দ্র।
বলিউডে নেমে এসেছে গভীর শোকের আবহ। সহ-অভিনেতা, পরিচালক, প্রযোজক-সকলের মুখে একটিই কথা, “এক যুগের অবসান।”
ধর্মেন্দ্রর পেশাগত জীবন ছিল বিস্তৃত ও বহুমুখী। অভিনেতা, প্রযোজক ও রাজনীতিবিদ,তিন ভূমিকাতেই ছয় দশকেরও বেশি সময় ধরে তিনি দর্শকদের মুগ্ধ করেছেন।
১৯৫০-এর দশকের শেষের দিকে ‘ফিল্মফেয়ার ট্যালেন্ট হান্ট’-এ বিজয়ী হয়ে তিনি বলিউডে পা রাখেন। ১৯৬০ সালে ‘দিল ভি তেরা হাম ভি তেরে’ ছবির মাধ্যমে অভিনয়ে আত্মপ্রকাশ করেন। এরপর একের পর এক হিট ছবি-মোট ২৪৭টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন তিনি। শোলে,চুপকে চুপকে,ধর্ম-ভীর-প্রতিটি ছবিতেই ছিল তাঁর অনবদ্য উপস্থিতি।
অভিনয়ের পাশাপাশি তাঁর ব্যক্তিগত জীবনও সবসময় আলোচনায় থেকেছে। প্রথম পক্ষের স্ত্রী প্রকাশ কৌরের সঙ্গেই ছিলেন জীবনের শেষ দিনগুলোতে। সাম্প্রতিক কালে করণ জোহরের ‘রকি অউর রানি কি প্রেম কাহানি’ ছবিতে জয়া বচ্চন ও শাবানা আজমির সঙ্গে পর্দা ভাগ করে আবারও দর্শকদের মুগ্ধ করেছিলেন তিনি।
ডিসেম্বরে ৯০-এ পা দেওয়ার কথা ছিল ধর্মেন্দ্রর। কিন্তু তার আগেই স্তব্ধ হল এক উজ্জ্বল অধ্যায়। ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে তাঁর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।



















