close
কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!
বহুল আলোচিত সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিল সংক্রান্ত রিটের চূড়ান্ত রায় আজ ঘোষণা করতে যাচ্ছে হাইকোর্ট। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলসহ গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয়ে ২০১১ সালে পাস হওয়া এই সংশোধনী কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না—সে বিষয়ে জারি করা রুলের রায়কে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
গত ১৭ ডিসেম্বর দিনটি রায়ের জন্য নির্ধারণ করেছিলেন বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ। দীর্ঘ ২৩ কার্যদিবসের শুনানি শেষে আজকের রায়ের দিকে নজর রাখছেন সংশ্লিষ্ট মহলসহ দেশের রাজনৈতিক ও সাধারণ জনগণ।
কে কী বললেন আদালতে?
সেদিন আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান এবং ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদ উদ্দিন। রিটকারী সুজনের পক্ষে সিনিয়র আইনজীবী ড. শরিফ ভূঁইয়া যুক্তি উপস্থাপন করেন। বিএনপির পক্ষে দাঁড়িয়েছিলেন সিনিয়র আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল ও অ্যাডভোকেট ফারজানা শারমিন পুতুল।
জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির ও ব্যারিস্টার এহসান সিদ্দিকী। অন্যদিকে ইনসানিয়াত বিপ্লবের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান। চার আবেদনকারীর পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার জুনায়েদ আহমেদ চৌধুরী এবং ইন্টারভেনর হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার হামিদুল মিসবাহ।
পঞ্চদশ সংশোধনী: সংক্ষিপ্ত পটভূমি
২০১১ সালের ৩০ জুন জাতীয় সংসদে পাস হওয়া পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানে কিছু বড় পরিবর্তন আনা হয়। এর মধ্যে অন্যতম ছিল—
১. তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল।
২. জাতির পিতা হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বীকৃতি।
৩. সংসদে সংরক্ষিত নারী আসন ৪৫ থেকে বাড়িয়ে ৫০ করা।
এই সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে জনস্বার্থে রিট করেন সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার এবং আরও চার বিশিষ্ট ব্যক্তি—তোফায়েল আহমেদ, এম হাফিজ উদ্দিন খান, জোবাইরুল হক ভূঁইয়া ও জাহরা রহমান।
পরবর্তীতে রুলটির শুনানিতে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী যুক্ত হয়। বিএনপির পক্ষে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং জামায়াতের পক্ষে সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার এই আইনি লড়াইয়ে যুক্ত হন।
সবার চোখ আজকের রায়ের দিকে
এই রায় দেশের রাজনীতিতে বড় প্রভাব ফেলতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। বিশেষত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল নিয়ে দীর্ঘ বিতর্কের সমাপ্তি কিংবা নতুন বিতর্কের সূচনা ঘটতে পারে।
হাইকোর্টের আজকের রায় ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন আলোচনার ঝড় উঠতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
לא נמצאו הערות