close
ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!
২০০৯ সালে পিলখানায় ঘটে যাওয়া ভয়াবহ বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলায় দুই শতাধিক আসামি জামিন পেয়েছেন। রবিবার (তারিখ অনুযায়ী) কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত বিশেষ আদালতের বিচারক ইব্রাহীম মিয়া এ জামিনের আদেশ দেন।
বিচারক আদেশ এবং আসামিদের খালাসের প্রেক্ষাপট
রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) বোরহান উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী আমিনুল ইসলাম জানান, বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় দায়েরকৃত হত্যা মামলায় খালাস পাওয়া ২৭৮ আসামির মধ্যে ২৫০ জনের বেশি আসামি উচ্চ আদালত থেকে চূড়ান্তভাবে খালাস পেয়েছেন। তাঁদের মধ্যে বিস্ফোরক মামলার আসামিরা জামিন চেয়ে আদালতে আবেদন করেন। আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের বক্তব্য
পিপি বোরহান উদ্দিন জানান, বিস্ফোরক মামলায় কতজন আসামি জামিন পেয়েছেন তা নির্দিষ্টভাবে বলা কঠিন। তবে যাঁরা হত্যা মামলায় খালাস পেয়েছেন এবং বিস্ফোরক মামলায় অভিযুক্ত, তাঁদের জামিন দেওয়া হয়েছে।
পিলখানা ট্র্যাজেডির স্মরণীয় দুঃসহ অধ্যায়
২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় বিডিআর সদর দপ্তরে সংঘটিত হয় নির্মম এক বিদ্রোহ। দুই দিনব্যাপী চলা এই নৃশংস ঘটনায় বিডিআরের তৎকালীন মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদসহ ৫৭ সেনা কর্মকর্তা নিহত হন। সেদিনের নির্মমতায় সর্বমোট ৭৪ জন প্রাণ হারান।
মামলার দীর্ঘ বিচারপ্রক্রিয়া
বিদ্রোহের ঘটনায় ২০০৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে পৃথক দুটি মামলা দায়ের হয়। ৮৫০ জনকে আসামি করা হয়, যা বিচার বিভাগের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর বিচারিক আদালত এ মামলার রায়ে ১৫২ জনকে মৃত্যুদণ্ড, ১৬০ জনকে যাবজ্জীবন, এবং ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেন। খালাস পান ২৭৮ জন।
পরে হাইকোর্টের রায়ে ১৩৯ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকে এবং ১৮৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পাশাপাশি খালাস পান ২৮৩ জন। আপিল বিভাগের চূড়ান্ত শুনানি এখনো অপেক্ষমাণ।
বিস্ফোরক মামলার অগ্রগতি
বিস্ফোরক মামলার বিচারিক প্রক্রিয়া এখনো চলছে। মামলার ১,৩৪৪ সাক্ষীর মধ্যে ২৭৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।পিলখানা বিদ্রোহের ভয়াবহতা এবং এর দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া এখনও বাংলাদেশের ইতিহাসে অন্যতম আলোচিত অধ্যায়। আসামিদের জামিন মঞ্জুর হওয়া নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
کوئی تبصرہ نہیں ملا