close
লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!
পবিত্র কোরআন পোড়ানোর প্রতিবাদ: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম


রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চারটি আবাসিক হলে পবিত্র কোরআন শরিফ পোড়ানোর ঘটনায় বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ মিছিল করেছেন শিক্ষার্থীরা। আজ রোববার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষার্থীরা এ সময় ষড়যন্ত্রের ফাঁদে পা না দিতে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
ঘটনার বিবরণ
আজ সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ আমীর আলী হলের মুক্তমঞ্চ, শহীদ হবিবুর রহমান ও শহীদ জিয়াউর রহমান হলের মসজিদের তাক, এবং মতিহার হলের ছাদ থেকে পোড়ানো কোরআন শরিফ উদ্ধার করা হয়। এছাড়া জিয়াউর রহমান হলে ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপির প্রতীক পদ্মফুল আঁকা অবস্থায় পাওয়া যায়।
ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দ্রুত পদক্ষেপ নেয়। উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব জানিয়েছেন, চারটি হল থেকে থানায় অভিযোগ দাখিল করা হবে। সহ–উপাচার্য অধ্যাপক মোহা. ফরিদ উদ্দিন খানকে প্রধান করে ৯ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বিক্ষোভে নেতাদের বক্তব্য
বিক্ষোভ সমাবেশে উপস্থিত বক্তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থার দুর্বলতার কঠোর সমালোচনা করেন। ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, “প্রতিটি হলে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা অত্যন্ত জরুরি। স্পর্শকাতর এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মসজিদে বারবার এমন ঘটনা ঘটছে—এটি প্রশাসনের ব্যর্থতা। আমাদের সম্প্রীতি নষ্ট করতে এবং দাঙ্গা বাধাতে এই ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। আমরা সচেতন থাকব এবং আইনের প্রতি আস্থা রাখব।”
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদ ফয়সাল বলেন, “এই ঘটনা ষড়যন্ত্রমূলক। যারা পতিত স্বৈরাচারের দোসর, তারাই এমন ন্যক্কারজনক কাজ করছে। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে যদি দোষীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় না আনা হয়, তাহলে বৃহৎ আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে।”
প্রশাসনের আহ্বান
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ইফতিখারুল আলম মাসুদ বলেন, “আমাদের শিক্ষার্থীরা অত্যন্ত দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করছে। তারা কোনো ধরনের উসকানিতে পা দেয়নি। আমরা দৃঢ়ভাবে বলতে চাই, দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রশাসন এই ঘটনায় আন্তরিকভাবে কাজ করছে।”
শেষ কথা
শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দ্রুত পদক্ষেপ ইতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। তবে এই ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। ষড়যন্ত্রের এই ফাঁদ ভেঙে শিক্ষার্থীদের সম্প্রীতি রক্ষার আহ্বান জানানো হয়েছে।
कोई टिप्पणी नहीं मिली