close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

পাকিস্তানে ৩০ ভারতীয় ড্রোন ধ্বং স! সীমান্তে যু দ্ধাবস্থা? প্রতিরক্ষা বা হিনী মুখোমুখি প্রস্তুতি..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় পাকিস্তানে ভারতীয় ৩০টি ড্রোন ধ্বংস! বাহাওয়ালনগরে আকাশে তীব্র সংঘর্ষ, পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলার অভিযোগে উত্তপ্ত কাশ্মীর সীমান্ত। যুদ্ধ কি অনিবার্য?..

সীমান্ত উত্তেজনার শীর্ষে পৌঁছেছে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক। গত দুই দিনে পাকিস্তানের আকাশ প্রতিরক্ষা বাহিনী দাবি করেছে, তারা অন্তত ৩০টি ভারতীয় ড্রোন সফলভাবে ভূপাতিত করেছে। সর্বশেষ ঘটনা ঘটেছে বাহাওয়ালনগরে, যেখানে আরও একটি ভারতীয় ড্রোন ধ্বংস করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৮ মে) পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী আত্তা তারার এক জরুরি প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান। পাকিস্তানের অন্যতম প্রধান সংবাদমাধ্যম দুনিয়া নিউজ এর খবরে বলা হয়, দেশটির সশস্ত্র বাহিনী ভারতের আগ্রাসন রুখতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত এবং আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এখন অত্যন্ত সক্রিয়।

আত্তা তারার বলেন,

“বাহাওয়ালনগরে আমাদের প্রতিরক্ষা বাহিনী একটি ভারতীয় ড্রোন ধ্বংস করেছে। এটি হিরপ মডেলের সামরিক নজরদারি ড্রোন ছিল। পাকিস্তান এর আগেও বারবার শান্তির বার্তা দিয়েছে, কিন্তু ভারতের আগ্রাসী মনোভাব সীমান্ত নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।”

পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (ISPR) জানিয়েছে,

“গত ৪৮ ঘণ্টায় ভারত থেকে পাঠানো ৩০টি ড্রোন আকাশে ধ্বংস করা হয়েছে। এরমধ্যে বেশ কয়েকটি ড্রোন সামরিক ঘাঁটির দিকে যাচ্ছিল।”

ISPR মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ সংবাদ সম্মেলনে বলেন,

“আমাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ২৯টি ড্রোন সঠিকভাবে শনাক্ত করে ধ্বংস করেছে। তবে একটি ড্রোন বিস্ফোরণে চারজন সেনা সদস্য সামান্য আহত হয়েছেন এবং প্রতিরক্ষা স্থাপনায় সামান্য ক্ষতি হয়েছে।”

তবে ভারতীয় ড্রোন হামলার জবাবে পাকিস্তানও সক্রিয়।
ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতের দিকে জম্মু, আরএস পুরা, আরনিয়া, সাম্বা ও হিরানগরের আকাশে পাকিস্তান ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর চেষ্টা করে। ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষা বাহিনী সেই হামলা প্রতিহত করতে সক্ষম হয়।

এছাড়া পাঠানকোটে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে এবং রাজস্থানের জয়সলমেরে পাকিস্তানি একটি ড্রোন আটকানো হয়।
এই ঘটনার জেরে ভারতের একাধিক শহর — চণ্ডীগড়, মোহালি ও শ্রীনগর — এ সতর্কতা জারি করে ব্ল্যাকআউট কার্যকর করা হয়।

ভারতীয় প্রতিরক্ষা সূত্র দাবি করেছে, পাকিস্তান জম্মু, পাঠানকোট ও উধমপুরের সেনাঘাঁটিতে হামলার চেষ্টা চালিয়েছিল। তবে প্রতিরক্ষা বাহিনীর তৎপরতায় কোনো প্রাণহানি ঘটেনি।

অন্যদিকে পাকিস্তান বলছে, ভারত গত রাতে অমৃতসরে চারটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে, যার মধ্যে একটি তাদের নিজস্ব স্থাপনায় আঘাত হানে। ISPR মহাপরিচালক বলেন,

“এটা শুধুই ভারতীয় প্রচারণা নয়, বরং এক ধরনের ভ্রান্ত কৌশল। আমরা নিবিড়ভাবে সবকিছু পর্যবেক্ষণ করছি।”


সীমান্তে নতুন যুদ্ধের সুর?

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, দুই পরমাণু শক্তিধর প্রতিবেশী দেশের মধ্যে এমন সামরিক উত্তেজনা দক্ষিণ এশিয়ার জন্য এক অশনি সংকেত। অতীতেও কাশ্মীর সীমান্ত ঘিরে বহুবার এমন টানাপোড়েন হয়েছে, কিন্তু এভাবে ড্রোন যুদ্ধ এবং পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র প্রচেষ্টা অনেক বেশি জটিল পরিস্থিতি তৈরি করছে।

দুই দেশের সাধারণ মানুষ এই সংঘর্ষের মাঝখানে পড়ে আতঙ্কিত। পাকিস্তানে নিহত হয়েছে তিনজন বেসামরিক নাগরিক, আর ভারতে আতঙ্কে স্কুল, হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্থাপনা আংশিকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে।


 

এই ঘটনার পর ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত যেন একটি বিস্ফোরণযোগ্য ‘বারুদের স্তূপ’ হয়ে উঠেছে। কূটনৈতিক সমঝোতার বদলে যদি পাল্টা হামলা আর সামরিক প্রচারই চলতে থাকে, তাহলে পরিণতি হতে পারে ভয়াবহ।

نظری یافت نشد


News Card Generator