বাংলা: বিমান বাহিনীর ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মো. তৌকির ইসলাম দুর্ঘটনাকবলিত বিমানটিকে জনবিরল এলাকায় নিয়ে গিয়ে প্রাণহানি ও বড় ক্ষয়ক্ষতি রোধের সর্বাত্মক চেষ্টা করেছিলেন বলে জানিয়েছে আইএসপিআর।
বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান সোমবার দুপুরে কুর্মিটোলাস্থ এ কে খন্দকার ঘাঁতি থেকে উড্ডয়নের কিছুক্ষণের মধ্যে যান্ত্রিক ত্রুটির সম্মুখীন হয়। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানায়, বিমানটিতে যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পড়লে ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মো. তৌকির ইসলাম দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে ঘনবসতি এলাকা থেকে দূরে জনবিরল স্থানে বিমানটিকে নিয়ন্ত্রণ করার সর্বাত্মক চেষ্টা করেন।
তাঁর এই সাহসী ও দায়িত্ববান ব্যবস্থাপনায় বিমানটি সরাসরি জনবহুল এলাকায় পতনের পরিবর্তে একটি তুলনামূলক কম জনবসতিপূর্ণ এলাকায় যায়, যা বড় ধরনের প্রাণহানি ও ভৌত ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। তবে দুর্ভাগ্যবশত, বিমানটি ঢাকার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল ও কলেজের দোতলা ভবনের সাথে সংঘর্ষ ঘটিয়ে বিধ্বস্ত হয়।
আইএসপিআর আরও জানিয়েছে, দুর্ঘটনার কারণ তদন্তের জন্য বিমান বাহিনী একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। তদন্ত শেষ হলে বিস্তারিত তথ্য উন্মোচিত করা হবে। তবে পাইলটের সাহসিকতা ও দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার কারণে বড় ধরনের মানবিক বিপর্যয় এড়ানো সম্ভব হয়েছে।
এই দুর্ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ও হতাহতের বিষয়ে প্রাথমিকভাবে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে উদ্ধারকারীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছেন।
বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর এই ঘটনা দেশের বিমান নিরাপত্তা ও পাইলটদের দক্ষতার ওপর গুরুত্বারোপ করে, যাদের তৎপরতা বিপদের সময় প্রাণ রক্ষায় ভূমিকা রাখে।