close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

পা র মা ণ বি ক আ গ্রা স নে আমেরিকার পা ল্টা জবাব

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রের ইরান হামলাকে সমর্থন জানালেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্টারমার। বললেন, পারমাণবিক হুমকি প্রশমনের জন্যই এ পদক্ষেপ। আলোচনায় ফেরার আহ্বান জানালেন তেহরানকে।..

আন্তর্জাতিক অঙ্গনে টানটান উত্তেজনার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ইরানে সামরিক হামলা চালিয়েছে। এই ঘটনায় নতুন মাত্রা যোগ করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার। তিনি সরাসরি জানিয়েছেন, এই হামলা ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি রোধ ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই চালানো হয়েছে।

স্টারমার বলেছেন, "ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি গোটা বিশ্বের জন্য বিপজ্জনক এক হুমকি। কখনোই ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে দেওয়া যাবে না। এই হুমকি দমনেই যুক্তরাষ্ট্র পদক্ষেপ নিয়েছে, যা একপ্রকার বাধ্যতামূলক হয়ে উঠেছিল।" — এমন বক্তব্য দিয়ে তিনি স্পষ্টভাবে মার্কিন অবস্থানকে সমর্থন করেছেন।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে ছিল দ্বিমুখী বার্তা। একদিকে তিনি যেমন হামলার যৌক্তিকতা তুলে ধরেছেন, অন্যদিকে ইরানকে আবারও কূটনৈতিক আলোচনার পথে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।

স্টারমার বলেন, “মধ্যপ্রাচ্যে পরিস্থিতি অত্যন্ত অস্থির। এই অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করাই এখন সবচেয়ে জরুরি। তাই আমরা ইরানকে আবারও আলোচনার টেবিলে ফেরার আহ্বান জানাচ্ছি, যেন এই সংকটের একটি কূটনৈতিক সমাধান সম্ভব হয়।”

এই মন্তব্যের পর আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের এই হামলার পর নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়তে পারে মধ্যপ্রাচ্যে। যুক্তরাজ্য যেভাবে হামলাকে সমর্থন করল, তাতে পশ্চিমা জোটের মধ্যে কৌশলগত ঐক্যের বার্তা স্পষ্ট।

তবে এই ঘটনায় রাশিয়া ও চীনের পক্ষ থেকে কড়া প্রতিক্রিয়া আসতে পারে বলেও ধারণা করা হচ্ছে। এমনকি ইরানও পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানাতে পারে, যার ফলে পুরো অঞ্চলের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়তে পারে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, যুদ্ধ নয় বরং সংলাপই এখন একমাত্র পথ। স্টারমারের আহ্বান ইঙ্গিত দেয় যে, পশ্চিমা বিশ্ব চূড়ান্ত সংঘর্ষে যেতে চায় না, বরং চাপ তৈরি করে ইরানকে আলোচনায় আনতে চায়। তেহরান আলোচনায় ফিরলে হয়তো এই উত্তেজনা কিছুটা প্রশমিত হবে।

তবে ইরান কী এই আহ্বানে সাড়া দেবে? নাকি আরও রণমূর্তি ধারণ করবে? সেটা এখনো স্পষ্ট নয়।

যুক্তরাষ্ট্রের ইরানে হামলার পর বিশ্বজুড়ে আলোচনা চলছে। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী স্টারমার এই হামলাকে সমর্থন করে বলছেন, এটি ‘পারমাণবিক হুমকি প্রশমনের জন্যই’। তিনি ইরানকে আলোচনায় ফিরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। তবে মধ্যপ্রাচ্যের অস্থির পরিস্থিতিতে এই হামলা কতটা শান্তি আনবে, তা নিয়ে বিশ্বজুড়ে দানা বাঁধছে নানা প্রশ্ন।

Tidak ada komentar yang ditemukan