close
কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!
ঢাকার অটোরিকশা সেক্টরে দীর্ঘ ২০ বছরের সীমাবদ্ধতা ও অদৃশ্য আধিপত্যের কারণে গভীর সংকটে পড়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। ঢাকা ও চট্টগ্রামে অটোরিকশার সংখ্যা নির্ধারিত থাকায় নতুন কোনো অটোরিকশার অনুমোদন দেওয়া হয়নি। এতে অটোরিকশা মালিকদের একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠী পুরো ব্যবস্থায় দাপট দেখাচ্ছে।
নির্ধারিত নিয়মে চালকের কাছ থেকে মালিকের দৈনিক জমা এবং যাত্রীদের থেকে ভাড়া আদায়ের প্রক্রিয়া প্রায় ভেঙে পড়েছে। অটোরিকশার মূল দাম যেখানে ৪ লাখ টাকা, সেখানে কেবল একটি নম্বর প্লেটের দাম ২০-২৫ লাখ টাকায় গিয়ে ঠেকেছে। ফলে, পুরো প্রক্রিয়া নিয়ে বিআরটিএ জটিলতায় পড়েছে।
বিআরটিএ চেয়ারম্যান মো. ইয়াসীন বলেন, "অটোরিকশার অনেকগুলো সংগঠন আছে। এক পক্ষকে ডাকলে অন্য পক্ষ অভিযোগ তোলে। ফলে সিএনজির মিটারে চলা, ভাড়া নির্ধারণ এবং মালিকদের জমার পরিমাণ ঠিক করা কঠিন হয়ে গেছে।"
তিনি আরও জানান, রাইট শেয়ারিং প্ল্যাটফর্মের কারণে ভাড়া কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে মালিক সমিতির প্রতিবন্ধকতার কারণে গত তিন মাসে বিষয়টি পুরোপুরি সমাধান করা যায়নি।
মিটারে চলার কঠোর নির্দেশনা:
বিআরটিএ জানিয়েছে, আগামী দুই মাসের মধ্যে সিএনজির মিটারে চলা এবং ভাড়া নির্ধারণ নিয়ে কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। পাশাপাশি সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে মোবাইল কোর্ট এবং ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনার পরিকল্পনা চলছে।
বাসের ফিটনেস সুরক্ষায় নতুন উদ্যোগ:
আগামী মে মাস থেকে সড়কে কোনো ফিটনেসবিহীন বাস চলতে দেওয়া হবে না বলে জানানো হয়েছে। মালিকদের সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। পরিবেশ অধিদপ্তরের সহায়তায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনার পাশাপাশি বাসচালক ও কন্ডাক্টরদের জন্য প্রশিক্ষণকেন্দ্র চালু করা হবে।
ঢাকার পরিবহনব্যবস্থায় পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি:
ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির নতুন সাংগঠনিক সম্পাদক জহির আল লতিফ বলেন, “আগামী তিন থেকে ছয় মাসের মধ্যে পরিবহনব্যবস্থায় বড় পরিবর্তন আসবে।”
চালকদের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার দাবি:
সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আবদুর রহিম দুদু বলেন, “চালকদের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা জরুরি। পাঠ্যবইয়ে সড়ক দুর্ঘটনা সম্পর্কিত সতর্কতার বিষয় যোগ করা দরকার।”
বিআরটিএর সেবা সহজীকরণ সভায় এসব বিষয় উঠে আসে। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, শৃঙ্খলা ফেরাতে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।
Комментариев нет



















