close
ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!
বর্তমান সময়ে অর্থনীতির স্থিতিশীলতার ওপর একের পর এক আঘাত যেন আরেকটি নতুন উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অর্থনীতি ধ্বংসে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখছে একধরনের একতরফা মিডিয়া ট্রায়াল, যা সমাজের প্রতিটি স্তরে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
মিডিয়া ট্রায়াল: মূল সমস্যা কী?
মিডিয়া ট্রায়াল বলতে বোঝায় এমন একটি প্রক্রিয়া যেখানে গণমাধ্যম নিরপেক্ষতা হারিয়ে ব্যক্তিগত বা প্রাতিষ্ঠানিক স্বার্থে ঘটনাগুলো বিকৃতভাবে উপস্থাপন করে। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে এর প্রভাব ভয়াবহ। পুঁজিবাজার, বেসরকারি খাত, এমনকি সাধারণ ব্যবসায়ীদের মনোবল ভেঙে পড়ছে এ ধরনের প্রতিবেদনের কারণে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, মিডিয়ার এই অসতর্ক আচরণ একদিকে যেমন বিনিয়োগকারীদের ভয় ধরিয়ে দিচ্ছে, অন্যদিকে সাধারণ মানুষের আস্থা হারানোর কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। উদাহরণ হিসেবে সাম্প্রতিক বেশ কিছু ইস্যুর কথা বলা যায়, যেখানে কোনো যাচাই-বাছাই ছাড়াই খবর প্রকাশিত হয়েছে।
অর্থনীতি ধ্বংসের পথে কে দায়ী?
বিশ্লেষকরা মনে করেন, মিডিয়ার দায়িত্বশীলতার অভাব এবং তথ্যের যথাযথ যাচাইয়ের অভাবই মূলত এই সমস্যার জন্ম দিয়েছে। একপাক্ষিক তথ্য বা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত খবর দেশের অর্থনৈতিক পরিবেশকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
তারা আরও বলেন, "অর্থনীতি একটি সূক্ষ্ম বিষয়। এটি পরিচালনার জন্য যেমন পরিকল্পনা প্রয়োজন, তেমনই প্রয়োজন নিরপেক্ষ ও দায়িত্বশীল মিডিয়া কাভারেজ। যদি তা না থাকে, তবে আমাদের সামগ্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হতে বাধ্য।"
কীভাবে সমাধান সম্ভব?
মিডিয়া ট্রায়ালের এই ধ্বংসাত্মক প্রভাব এড়াতে প্রয়োজন গণমাধ্যমের পেশাগত মান উন্নয়ন। তথ্য যাচাই, নিরপেক্ষতা রক্ষা, এবং দায়িত্বশীল সাংবাদিকতা হলো এর মূল চাবিকাঠি। গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানগুলোর উচিত তাদের কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া এবং সংবাদ প্রকাশের আগে সঠিক তথ্য যাচাই নিশ্চিত করা।
তথ্যভিত্তিক এবং সঠিক সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে জনসাধারণের আস্থা ফিরিয়ে আনা সম্ভব। আর এটাই হবে দেশের অর্থনীতির স্থিতিশীলতার দিকে বড় পদক্ষেপ।
শেষ কথা
অর্থনীতি হলো একটি দেশের শক্তির মূল ভিত্তি। এটি রক্ষা করা প্রতিটি নাগরিকের দায়িত্ব। তাই মিডিয়া এবং জনগণ উভয়েরই উচিত দায়িত্বশীল আচরণ করা। অন্যথায়, আমাদের সামনে অপেক্ষা করছে এক অন্ধকারময় ভবিষ্যৎ।
এই রকম একটি চমকপ্রদ শিরোনাম এবং গভীর বিশ্লেষণ দর্শক এবং পাঠকদের নিউজ ভিজিট করতে উদ্বুদ্ধ করবে। যদি আরও কোনো পরিবর্তন প্রয়োজন হয়, জানাবেন।
No comments found