close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

অপরাধের বিষফোঁড়া: অস্ত্র-গুলির ছড়াছড়িতে আতঙ্কিত জনজীবন

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
দেশজুড়ে একের পর এক ভয়াবহ ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ক্রমশ উদ্বেগজনক হয়ে উঠছে। অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার আর অপরাধীদের দৌরাত্ম্যে নিরাপত্তাহীনতার শঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন
দেশজুড়ে একের পর এক ভয়াবহ ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ক্রমশ উদ্বেগজনক হয়ে উঠছে। অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার আর অপরাধীদের দৌরাত্ম্যে নিরাপত্তাহীনতার শঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। সাম্প্রতিক কিছু ঘটনাই যেন চিত্র তুলে ধরছে, কীভাবে আইনশৃঙ্খলার অবনতি সমাজে চরম অস্থিরতা তৈরি করছে। অবৈধ অস্ত্রের ছড়াছড়ি এবং সংঘাতের আগুন দেশের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে রয়েছে প্রচুর অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ। পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, একের পর এক অভিযানের পরও উদ্ধার হয়নি লুণ্ঠিত সব অস্ত্র। ৭ ডিসেম্বর রাজধানীর কদমতলী ও বাড্ডায় পৃথক ঘটনায় তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। ২১ ডিসেম্বর নরসিংদীর পাঁচদোনা বাজারে ছাত্রদল নেতা হুমায়ুন কবীরকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। একই রাতে মুন্সিগঞ্জে পুলিশ কনস্টেবল রুহুল আমিন প্রতিপক্ষের হামলায় গুলিবিদ্ধ হন। এসব ঘটনা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে জনগণের মধ্যে চরম উৎকণ্ঠা তৈরি করেছে। অভিযান চলছে, কিন্তু অপরাধী ধরাছোঁয়ার বাইরে পুলিশের দেওয়া তথ্য বলছে, যৌথ অভিযানে কিছু অস্ত্র উদ্ধার করা গেলেও এখনো বিপুলসংখ্যক অস্ত্র ও গোলাবারুদ রয়ে গেছে অপরাধীদের হাতে। অপরাধ বিশ্লেষক নূর খান লিটন মনে করেন, পুলিশের সমন্বয়হীনতা এবং অপরাধীদের রাজনৈতিক আশ্রয়প্রাপ্তির কারণে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসছে না। ব্যক্তিগত বিরোধেও রক্তপাত নরসিংদী ও মুন্সিগঞ্জের ঘটনাগুলো যেমন অপরাধের ভয়াবহতা তুলে ধরছে, তেমনি পারিবারিক বিরোধ থেকে সংঘাতের ঘটনাও নজর কাড়ছে। রুহুল আমিনের ওপর হামলা এ ধরনের বিরোধেরই উদাহরণ। এমনকি খুলনার জয়পুর বাজারে সাব্বির হোসেনকে গুলি করে আহত করার ঘটনাও ব্যক্তি পর্যায়ের প্রতিহিংসার চিত্র স্পষ্ট করছে। পুলিশের আশ্বাস এবং জনগণের উদ্বেগ পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক ইনামুল হক সাগর বলেছেন, প্রতিটি ঘটনাকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। অপরাধীদের ধরতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালানো হচ্ছে। অন্যদিকে, বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আরও কঠোর হওয়া প্রয়োজন। বিশেষ করে অপরাধীদের কাছে বার্তা দিতে হবে যে, অপরাধ করে পার পাওয়া যাবে না। সামাজিক ও রাজনৈতিক সংঘর্ষও অব্যাহত রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর প্রতিদিনই নানা দাবিতে মিছিল-মিটিং আর সংঘাতের ঘটনা বাড়ছে। এসব ঘটনাও জননিরাপত্তায় অবনতির অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অপরাধের বিরুদ্ধে একতাবদ্ধ প্রয়াস জরুরি অপরাধ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত উদ্যোগ এখন সময়ের দাবি। অপরাধ দমনে কঠোর আইন প্রয়োগ এবং নিয়মিত অভিযানের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধি করা জরুরি। অন্যথায়, সমাজে অপরাধের বিষফোঁড়া আরও গভীর হবে। অবস্থা যেদিকে যাচ্ছে, তাতে সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বিত প্রচেষ্টাই পারে দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে। জনগণের মনে স্থায়ী শান্তি ফিরিয়ে আনাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ।
Ingen kommentarer fundet