অপরাধে সম্পৃক্ত না থাকা আ.লীগারদের সঙ্গে জুলুম করা যাবে না : রাশেদ..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
গণঅধিকার পরিষদের রাশেদ খান বললেন—অপরাধে সম্পৃক্ত না এমন আওয়ামী লীগারদের হয়রানি করা অন্যায়। বিয়ের মতো পবিত্র অনুষ্ঠানে হামলা সভ্যতার জন্য হুমকি।..

গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিয়েছেন বর্তমান সময়ের উত্তপ্ত রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রেক্ষাপটে। আওয়ামী লীগ করলেই কেউ অপরাধী নয়, অপরাধে সম্পৃক্ত না এমন ব্যক্তিদের হয়রানি করা মানবিক ও নৈতিকভাবে ভুল।" শনিবার, নিজের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এই মন্তব্য করেন।

রাশেদ খান তার পোস্টে বলেন, “জাতীয় একটি পত্রিকার লাইভ ভিডিওতে আমি দেখেছি—একটি বিয়ের কমিউনিটি সেন্টারের সামনে গিয়ে কিছু লোক স্লোগান দিচ্ছে। অভিযোগ অনুযায়ী, সেটি ছিল একজন উপজেলা চেয়ারম্যানের ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠান। আওয়ামী লীগের বিচার বা অপরাধীদের বিচার চাওয়া যেতে পারে। তবে যারা কোনো অপরাধে সম্পৃক্ত নয়, এমন পরিবারের সদস্যদের হয়রানি করা অনুচিত।

বিয়ে একটি পবিত্র সামাজিক অনুষ্ঠান। সেখানে গিয়ে মিছিল, স্লোগান, আতঙ্ক তৈরি করা অত্যন্ত জঘন্য কাজ। এমন ঘটনা শুধু মানবিকতাবিরোধী নয়, বরং একটি নতুন সমাজব্যবস্থা তৈরির পথে বড় বাধা।

গণ-অভ্যুত্থান যদি হয়ও, তা যেন একটি সুসভ্য সমাজ প্রতিষ্ঠার দিকে নিয়ে যায়। যদি আমরা সে শৃঙ্খলা তৈরি করতে না পারি, তবে গণ-অভ্যুত্থানের স্বপ্নই ভেস্তে যাবে। বরং, তা একটা বিস্বাদ অভিজ্ঞতায় পরিণত হবে।

একজন আওয়ামী লীগার যদি অপরাধ না করে থাকে, তবে শুধুমাত্র দলীয় পরিচয়ের ভিত্তিতে তার পরিবারকে সামাজিকভাবে কোণঠাসা করা, অনুষ্ঠানে বাধা দেওয়া বা বিয়েতে গিয়ে বিশৃঙ্খলা করা মব মনস্তত্ত্বেরই প্রকাশ। এই মনোভাব সমাজে দীর্ঘমেয়াদে বিশৃঙ্খলা তৈরি করবে।

রাশেদ খান পরামর্শ দিয়েছেন—“বিয়ের অনুষ্ঠানে যদি কোনো প্রকৃত অপরাধী উপস্থিত থাকে, তাহলে প্রশাসনকে জানানো উচিত। কিন্তু নিজে গিয়ে বিশৃঙ্খলা করা, মব তৈরি করা, স্লোগান দেওয়া—এসব আইনভঙ্গের শামিল।

তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন—“আজ যারা বিয়েতে গিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে, কাল তারা আরও বড় পরিসরে সহিংসতা ছড়াতে পারে। তাই এমন অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে হবে, তা না হলে সমাজে ভয়াবহ উদাহরণ তৈরি হবে।

গণঅধিকার পরিষদের শীর্ষ নেতার এই বক্তব্য অনেকের দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টে দিতে পারে। তিনি বলেছেন, “নির্দোষদের শাস্তি দিয়ে কোনো ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হয় না। অপরাধীর বিচার চাই, কিন্তু সেটি যেন সভ্যতা ও মানবিকতার ভেতরে থেকেই হয়।

এই বার্তা শুধু আওয়ামী লীগ নয়—সব রাজনৈতিক দল ও নাগরিকদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আজ যাকে অন্যায় করা হচ্ছে, কাল তা যেকোনো পক্ষের বিরুদ্ধে ঘটতে পারে। সভ্যতা টিকিয়ে রাখতে হলে বিচার চাই, কিন্তু জুলুম নয়।

Ingen kommentarer fundet