close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এক বছর: অর্জন ও চ্যালেঞ্জ

Mahamud Mithu avatar   
Mahamud Mithu
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এক বছর পূর্ণ হচ্ছে। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে এই সরকার বিভিন্ন ক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবর্তন এনেছে।..

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আগামীকাল তাদের এক বছর পূর্ণ করতে যাচ্ছে। শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত এই সরকার দেশকে একটি নতুন পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। 

২০২৪ সালের ৫ আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর শেখ হাসিনার সরকার পতিত হলে, ৮ আগস্টে ড. ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শপথ গ্রহণ করে। এই সরকার গঠনের পেছনে মূল উদ্দেশ্য ছিল নির্বাচনী ব্যবস্থা, শাসনব্যবস্থা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, অর্থনীতি, বিচারব্যবস্থা এবং আইন-শৃঙ্খলার উন্নয়ন করা। 

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শপথ গ্রহণের পর থেকেই বিভিন্ন খাতে সংস্কার আনতে শুরু করে। সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার ছিল নির্বাচনী ব্যবস্থার সংস্কার। ইতিমধ্যেই 'জাতীয় ঐকমত্য কমিশন' এবং 'জুলাই সনদ' প্রণয়নের মাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্য নিয়ে তারা কাজ করছে। 

অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে, ড. ইউনূসের সরকার মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বিশেষ গুরুত্ব দেয়। সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের ফলে জুন মাসে মূল্যস্ফীতি কমে ৮.৪৮ শতাংশে নেমেছে, যা গত ৩৫ মাসে সর্বনিম্ন। প্রবাসী বাংলাদেশিদের আস্থা অর্জন করে রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স সংগ্রহের ফলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভেও স্থিতিশীলতা এসেছে। 

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এক বছর পূর্তির প্রাক্কালে ড. ইউনূস জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে বলেন, "আমাদের লক্ষ্য ছিল একটি গণতান্ত্রিক, স্বচ্ছ ও স্থিতিশীল বাংলাদেশ গঠন করা। আমরা সেই লক্ষ্যে অনেকটাই এগিয়েছি।" তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, দেশের অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায় সরকার নিরলসভাবে কাজ করছে। 

সরকার ইতোমধ্যে বিভিন্ন সংস্কার কমিশন গঠন করেছে যেমন: নির্বাচনী ব্যবস্থা সংস্কার, পুলিশ সংস্কার, বিচারব্যবস্থা সংস্কার, দুর্নীতি দমন এবং গণমাধ্যম সংস্কার। এসব কমিশন তাদের সুপারিশমালা জমা দিয়েছে এবং সরকার অনেক ক্ষেত্রেই সেই সুপারিশ বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। 

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এই এক বছরে দেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার জন্য অনেক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তবে, সরকারের সামনে এখনও অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। বিশেষ করে, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা এবং দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা। 

ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন এই সরকার দেশের জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। তাদের এই প্রচেষ্টা দেশের ভবিষ্যৎ গণতান্ত্রিক পরিবেশ ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথে ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে বলেই বিশ্লেষকরা মনে করছেন।

نظری یافت نشد