close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

অন্তর্বর্তী সরকারের ৫ বছর থাকার বিষয়ে এনসিপির সংশ্লিষ্টতা নেই’ : আখতার হোসেন..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মেয়াদ পাঁচ বছর হবে কি না, এ নিয়ে কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই বলে জানিয়ে দিল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আখতার হোসেন বলেন, আমরা চাই, সরকার সময়মতো নির্বাচন দিয়ে সংবিধান ও গণতন্ত্রের ..

জাতীয় রাজনীতিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সম্ভাব্য মেয়াদ নিয়ে যখন নানা আলোচনা-সমালোচনা চলছে, তখন এই ইস্যুতে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করলো জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন সাফ জানিয়ে দিয়েছেন— অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ পাঁচ বছর হবে কি না, সেটি একান্তই সংশ্লিষ্ট মহলের বিষয়। এনসিপি এই বিষয়ে কোনো অবস্থান নেয়নি এবং এর সঙ্গে দলটির কোনো সম্পৃক্ততা নেই।

শনিবার (২৪ মে) দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। সেখানে দেশের চলমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট, নির্বাচন, মানবিক সহায়তা এবং শান্তিপূর্ণ সংলাপের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরা হয়।

আখতার হোসেন বলেন,

“আমরা একটি সময়োপযোগী, যৌক্তিক এবং গ্রহণযোগ্য রাজনৈতিক রূপান্তর চাই। সরকার গণহত্যার বিচার করবে, সংবিধান সম্মত নির্বাচন দেবে এবং প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে বিদায় নেবে— এটাই আমাদের প্রত্যাশা।”

তিনি জোর দিয়ে বলেন, এই উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য সরকারের সদিচ্ছা ও আন্তরিকতা জরুরি। গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হলে সকল রাজনৈতিক শক্তির অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় নির্বাচন আয়োজন করা আবশ্যক।

 মানবিক করিডর নাকি ত্রাণ সহায়তা?

সংবাদ সম্মেলনে একটি আলোচিত বিষয় ছিল 'মানবিক করিডর'। এনসিপির মতে, এই করিডর নিয়ে একপাক্ষিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ না করে রাজনৈতিক দল ও জনগণের মতামত নেওয়া উচিত।
আখতার হোসেন বলেন,

“আমরা মনে করি, করিডর নয় বরং ত্রাণ আদান-প্রদানের ব্যবস্থা করাই হতে পারে একটি কার্যকর বিকল্প। তবে সেটিও হতে হবে আলোচনার মাধ্যমে, সমন্বিতভাবে।”

এই মন্তব্যে ইঙ্গিত পাওয়া যায় যে, এনসিপি রাজনৈতিক আলোচনার পক্ষপাতী এবং তারা কোনো সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়ার বিপক্ষে। মানবিক ইস্যুতে জাতীয় ঐক্য গঠনের প্রয়োজনীয়তার কথাও উঠে আসে বক্তব্যে।

 সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় নেতারা

সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন—

  • আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম

  • মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী

  • দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ

তারা সকলেই রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, সহনশীলতা এবং গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির চর্চার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

রাজনৈতিক বার্তা: সময়মতো বিদায়, সহমতের ভিত্তিতে নির্বাচন

এনসিপির বক্তব্য স্পষ্ট— তারা কোনো বিশেষ সরকার ব্যবস্থা বা মেয়াদের পক্ষে না। তারা চায় জনগণের অধিকার নিশ্চিত করে একটি স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হোক। সরকারকেও আহ্বান জানানো হয়েছে—

"গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে সময়মতো বিদায় নিন এবং নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের রায়কে মেনে নিন।"

এই অবস্থান জাতীয় রাজনীতিতে এনসিপিকে একটি ভারসাম্যপূর্ণ ও দায়িত্বশীল রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে তুলে ধরছে। তাদের আহ্বান— গণতন্ত্র, মানবিকতা ও সংলাপের পথেই হোক দেশের ভবিষ্যৎ গন্তব্য।

Nessun commento trovato