close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

অংশীদারিত্বের গণতন্ত্রই ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রের মডেল: আ স ম আবদুর রব

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেছেন, রাষ্ট্র সংস্কারের অন্যতম লক্ষ্য হওয়া উচিত বিদ্যমান সংকুচিত গণতন্ত্রের পরিবর্তে বিকাশমান সমাজশক্তির অংশীদারিত্বভিত্তিক গণতন্
জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেছেন, রাষ্ট্র সংস্কারের অন্যতম লক্ষ্য হওয়া উচিত বিদ্যমান সংকুচিত গণতন্ত্রের পরিবর্তে বিকাশমান সমাজশক্তির অংশীদারিত্বভিত্তিক গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা। এই নতুন রাজনৈতিক ব্যবস্থা জনগণের স্বার্থরক্ষায় একটি কার্যকর রাষ্ট্রশক্তি সৃষ্টি করবে, যা জনগণের প্রকৃত ক্ষমতায়নের সুযোগ তৈরি করবে। তিনি বলেন, “বর্তমান দমনমূলক ও অগণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থার পরিবর্তে এমন একটি রাজনৈতিক বন্দোবস্ত প্রয়োজন, যেখানে জনগণের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ থাকবে। অংশীদারিত্বভিত্তিক এই মডেল কার্যকর হলে একনায়কত্ব, ফ্যাসিবাদী বা স্বৈরাচারী শক্তির উত্থান ঠেকানো সম্ভব হবে। প্রচলিত রাজনীতি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে এবং সৃষ্টিশীল জাগরণের একটি নতুন অধ্যায় সূচিত হবে।” আ স ম রব আরও বলেন, এই অংশীদারিত্বমূলক গণতন্ত্রের ধারণা প্রথমে প্রবক্তা করেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক সিরাজুল আলম খান। তিনি বহু আগে থেকেই বিদ্যমান সংবিধানের পরিবর্তে একটি নতুন সংবিধানের প্রবর্তনের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছিলেন। তাঁর প্রস্তাবিত শাসনতন্ত্র বাংলাদেশকে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্বাধীন রাষ্ট্রে পরিণত করার দিশা দেখাবে। তিনি বলেন, “বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সিরাজুল আলম খানের চিন্তা ও রাজনীতি আজও অনিবার্য। বিদ্যমান ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থার অবসানে এবং একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনে অংশীদারিত্বভিত্তিক গণতন্ত্রই একমাত্র বিকল্প মডেল।” আজ শনিবার সিরাজুল আলম খান সেন্টার অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট কর্তৃক আয়োজিত একটি আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন আ স ম আবদুর রব। অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় স্বাধীনতা আন্দোলন ও সশস্ত্র সংগ্রামের প্রধান সংগঠক সিরাজুল আলম খানের ৮৪তম জন্মদিন উপলক্ষে। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি আ স ম রব ছাড়াও বক্তব্য রাখেন ডক্টর সলিমুল্লাহ খান, জেএসডি সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, নাজমুল হক প্রধান, এবং রাশেদ খান সাখাওয়াত হোসেন টুটুল। সভাপতিত্ব করেন সিরাজুল আলম খান সেন্টার অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান রায়হানুল ইসলাম। তিনি অনলাইনে সংযুক্ত হয়ে বলেন, “স্বাধীনতার ইতিহাসকে কোনোভাবেই দলীয়করণ করতে দেওয়া যাবে না। আমাদের গবেষণার মূল লক্ষ্য হবে বাংলার ইতিহাস এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রকৃত ইতিহাসকে তুলে ধরা।” অনুষ্ঠানে সিরাজুল আলম খানের সহযোদ্ধা, শুভাকাঙ্ক্ষী, রাজনীতিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বরা উপস্থিত ছিলেন। বিশ্লেষণ: এই বক্তব্য থেকে স্পষ্ট, ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক কাঠামোতে জনগণের সরাসরি অংশগ্রহণ নিশ্চিত করাই প্রধান লক্ষ্য। অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে গঠিত এই নতুন রাজনীতিই দমনমূলক শাসনের অবসান ঘটাবে।
No comments found