আজ সেই দিন, যেদিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার বজ্রকণ্ঠে ঘোষণা করেছিলেন, “এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম।”
১৯৭১ সালের এই ঐতিহাসিক দিনে রেসকোর্স ময়দানে লাখো মানুষের সামনে বঙ্গবন্ধুর দেওয়া ভাষণ বাঙালিকে মুক্তির সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়তে অনুপ্রাণিত করেছিল। পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর দীর্ঘ অন্যায়, বৈষম্য ও শোষণের বিরুদ্ধে এই ভাষণ ছিল বিদ্রোহের ডাক।
বঙ্গবন্ধুর সেই ভাষণ শুধু বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসেই নয়, বরং বিশ্ব ইতিহাসে এক অনন্য দলিল হিসেবে ইউনেস্কোর “মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড” স্বীকৃতি পেয়েছে।
সেদিনের ভাষণে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, “তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে প্রস্তুত থাকো। রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরও দেবো, তবুও এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাআল্লাহ।”
এই ভাষণই ছিল মুক্তিযুদ্ধের দিকনির্দেশনা। পরে সেই ভাষণের আলোকে শুরু হয় সশস্ত্র সংগ্রাম, যার ফলে দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে বাংলাদেশ অর্জন করে স্বাধীনতা।
জাতীয়ভাবে উদযাপন:
আজকের দিনটি উপলক্ষে সারা দেশে নানা কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে রাষ্ট্রীয়ভাবে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানো হবে বঙ্গবন্ধুর প্রতি। এছাড়া, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন বিশেষ আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।
অমর স্মৃতি:
৭ মার্চের ভাষণ আজও বাঙালি জাতির জন্য প্রেরণার উৎস। এই ভাষণ শুধু রাজনৈতিক নির্দেশনাই নয়, এটি ছিল এক জাতির স্বপ্ন পূরণের অঙ্গীকার।
বাঙালির হৃদয়ে চিরজাগরুক এই ভাষণ স্মরণ করিয়ে দেয়, স্বাধীনতার জন্য আত্মত্যাগ ও দেশপ্রেম কতটা গুরুত্বপূর্ণ।