close
কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!
জাতীয় ঐক্য, সংস্কার ও নির্বাচন—এই তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে আজ থেকে শুরু হচ্ছে দুই দিনব্যাপী জাতীয় সংলাপ। রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে (কেআইবি) আয়োজিত এ সংলাপের মূল উদ্দেশ্য হলো দেশের ভবিষ্যৎ গঠন ও স্থিতিশীলতা নিয়ে আলোচনার একটি মঞ্চ তৈরি করা।
সংলাপের সূচনা ও লক্ষ্য
শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় সংলাপের উদ্বোধন করা হবে, যা চলবে শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) পর্যন্ত। ফোরাম ফর বাংলাদেশ স্টাডিজ (এফবিএস) এই সংলাপের আয়োজক। মূলত, জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন এবং প্রয়োজনীয় সংস্কার নিয়ে আলোচনা হবে এখানে।
উল্লেখযোগ্য অতিথিদের উপস্থিতি
এবারের সংলাপে প্রধান অতিথি হিসাবে ভার্চুয়ালি অংশ নেবেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক ও অর্থনীতিবিদ ড. মুশতাক হুসাইন খান। সমাপনী বক্তব্য প্রদান করবেন সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. আলী রীয়াজ।
এ ছাড়াও অন্তর্বর্তী সরকারের সাতজন উপদেষ্টা, ২০টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি, নাগরিক সমাজের বিশিষ্টজন এবং বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিরা সংলাপে অংশ নেবেন। সংলাপের শেষ দিনে একটি ঘোষণাপত্র প্রকাশ করা হবে।
সংলাপের বিষয়বস্তু ও অধিবেশন
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এই সংলাপে বিচার, সংস্কার, নিরাপত্তা ও নির্বাচন নিয়ে মোট ছয়টি অধিবেশন হবে। প্রতিটি অধিবেশনে অংশ নেবেন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতা, সরকারের উপদেষ্টা, নাগরিক সমাজ এবং ছাত্র প্রতিনিধিরা।
বিশেষ আমন্ত্রণ ও সীমাবদ্ধতা
আয়োজক কমিটি জানিয়েছে, সংলাপে আওয়ামী লীগ বা ১৪ দলীয় জোটের কোনো প্রতিনিধিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। এর পেছনে বিশেষ কোনো কারণ উল্লেখ করা হয়নি, তবে এটি সংলাপের আলোচনার ক্ষেত্রে একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হিসেবে দেখা হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনের বক্তব্য
আয়োজক এফবিএস-এর আহ্বায়ক সাংবাদিক মনির হায়দার সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “আমরা একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে চাই, যেখানে সব শ্রেণি-পেশার মানুষ তাদের মতামত প্রকাশ করতে পারবে।” অন্যান্য বক্তার মধ্যে ছিলেন দৈনিক ইত্তেফাকের নির্বাহী সম্পাদক সালেহ উদ্দিন, রাজনৈতিক বিশ্লেষক ডা. জাহেদ উর রহমান, আইনজীবী দিলরুবা শারমিন এবং সাংবাদিক ফারুক ওয়াসিফ।
উপসংহার
জাতীয় সংলাপের এই আয়োজন রাজনৈতিক ও সামাজিক অঙ্গনে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি আনতে পারে। দুই দিনের এই সংলাপের ফলাফল কী হতে পারে, তা নিয়ে আগ্রহ রয়েছে সর্বমহলে। দেশবাসী এখন অপেক্ষা করছে এই সংলাপের মাধ্যমে প্রাপ্ত ঐক্য এবং পরিবর্তনের সম্ভাবনার জন্য।
Nema komentara



















