close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

অবশেষে স্বীকৃতি পেল পুরুড়া জুনিয়র মডেল হাইস্কুল

Shazzadul Alam Khan  avatar   
Shazzadul Alam Khan
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির অ্যাডহক সভাপতি, বিএনপির সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেতা ও বর্তমান যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন চয়ন বিদ্যালয়টির সার্বিক উন্নয়নে যুগা..

ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি: দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নতুন মানদণ্ডে স্বীকৃতি লাভ করেছে ভালুকা উপজেলার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পুরুড়া জুনিয়র মডেল হাইস্কুল। দীর্ঘদিন ধরে নানা প্রশাসনিক জটিলতা ও স্বৈরাচারী সরকারের রাজনৈতিক বাধার কারণে এ স্বীকৃতি ঝুলে থাকলেও বর্তমান অ্যাডহক কমিটির নিরলস প্রচেষ্টায় তা বাস্তবায়িত হলো।

বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির অ্যাডহক সভাপতি, বিএনপির সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেতা ও বর্তমান যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন চয়ন বিদ্যালয়টির সার্বিক উন্নয়নে যুগান্তকারী ভূমিকা রেখে চলেছেন। তাঁর নেতৃত্বে সম্প্রতি গণিত, শরীরচর্চা ও কৃষি বিষয়ে তিনজন শিক্ষিকা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধির পাশাপাশি নারী শিক্ষকের সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে।

শুধু একাডেমিক শিক্ষাই নয়, শিক্ষার্থীদের নৈতিক, সাংস্কৃতিক এবং শারীরিক বিকাশেও সমান গুরুত্ব দিচ্ছেন চয়ন। তাঁর উদ্যোগে সম্প্রতি "নারী নয় বোঝা, সে সমাজের শক্তি ও সম্ভাবনা" প্রতিপাদ্যে দিনব্যাপী একটি কর্মশালার আয়োজন করা হয়। সেখানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি বলেন, “নারী শিক্ষার গর্ব, ভবিষ্যতের ভিত্তি। এই স্কুল থেকেই আগামী দিনের আলোকিত নারীরা গড়ে উঠবে।”

বিদ্যালয়ে শিক্ষার পাশাপাশি আধুনিক খেলাধুলার সুবিধা নিশ্চিত করতে তিনি নিজ উদ্যোগে ক্রীড়া সামগ্রী সরবরাহ করেন। শিক্ষার্থীদের সোশ্যাল মিডিয়ায় অতিরিক্ত আসক্তি থেকে দূরে রাখতে খেলার মাঠে উৎসাহিত করার কথাও বলেন তিনি। তার ভাষায়, “ডিজিটাল নেশা আমাদের সন্তানদের নিঃস্ব করছে। এর প্রতিকার হলো খেলাধুলা ও মানসিক বিকাশ।”

বিদ্যালয়ের দীর্ঘ প্রতীক্ষিত স্বীকৃতি অর্জন ও সামগ্রিক উন্নয়নে চয়নের নেতৃত্বকে অভিভাবক ও এলাকাবাসী গভীরভাবে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। অনেকেই মনে করছেন, তার মত নেতৃত্ব থাকলে অচিরেই এ বিদ্যালয় জেলার অন্যতম শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠানে রূপ নেবে।

উল্লেখ্য, সাখাওয়াত হোসেন চয়ন ছাত্রজীবনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন সংগ্রামী ছাত্রনেতা ছিলেন। তিনি কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের নির্বাহী কমিটির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং বর্তমানে যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটিতেও একই পদে রয়েছেন। শিক্ষা ও সামাজিক উন্নয়নের মাধ্যমে তিনি রাজনীতিকে মানুষের কল্যাণে ব্যবহার করছেন, বলছেন এলাকার সচেতন নাগরিকরা।

Không có bình luận nào được tìm thấy