ক্লাব ও জাতীয় দলের হয়ে ১২ মাসে মোট ৮০ ম্যাচের মধ্যে ৭৭টিতে মাঠে নামা এই আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড অবশেষে পেয়েছেন বহু কাঙ্ক্ষিত বিরতি।
২৫ বছর বয়সী আলভারেজের এই ‘বিরামহীন’ যাত্রার শুরু যুক্তরাষ্ট্র থেকে। ২০২৪ কোপা আমেরিকার আয়োজক দেশটিতে আর্জেন্টিনার হয়ে শিরোপা জিতে আসর শেষ করেন তিনি। সেখান থেকে সরাসরি ফ্রান্সে যান প্যারিস অলিম্পিকে অংশ নিতে আর্জেন্টিনা অলিম্পিক দলের সঙ্গে। এরপর দেশে না ফিরে যোগ দেন নতুন ক্লাব আতলেতিকো মাদ্রিদে। ইংল্যান্ডের ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে শেষ ম্যাচ খেলে সেখানে বিদায় নেন এই তরুণ তারকা।
আতলেতিকো মাদ্রিদে যোগ দেওয়ার পরই যেন ব্যস্ততা দ্বিগুণ হয়ে যায়। লা লিগা, উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ, কোপা দেল রে এবং চলমান ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ—প্রতিটি টুর্নামেন্টেই নির্ভরতার প্রতীক ছিলেন আলভারেজ। তবে গোল পার্থক্যে পিছিয়ে থেকে আতলেতিকো ক্লাব বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নেওয়ায় এবার কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারছেন তিনি।
স্প্যানিশ ক্রীড়া দৈনিক মুন্দো দেপোর্তিভো জানিয়েছে, দীর্ঘ মৌসুমের ধকল কাটিয়ে উঠতে আলভারেজকে প্রায় এক মাসের ছুটি দিয়েছেন কোচ দিয়েগো সিমিওনে। আগামী ২১ জুলাই প্রাক্–মৌসুম অনুশীলনে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে তাঁর।
বিগত ১২ মাসে মাত্র ৩টি ম্যাচ মিস করেছেন আলভারেজ—একটি আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের, একটি ম্যানচেস্টার সিটির এবং একটি আতলেতিকো মাদ্রিদের হয়ে। এর মধ্যে কোপা আমেরিকার কোয়ার্টার ফাইনালে ইকুয়েডরের বিপক্ষে বদলি হিসেবে নামেন, আর গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে পান বিশ্রাম। বাকি ৭৭ ম্যাচের ৭৬টিতেই ছিলেন শুরুর একাদশে।
ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে কমিউনিটি শিল্ড জয়ের মধ্য দিয়েই বিদায় বলার সুযোগ ছিল তাঁর, কিন্তু কোচ পেপ গার্দিওলা তাঁকে সেই স্কোয়াডেই রাখেননি।
অবশেষে, এক বছরের টানা পরিশ্রমের পর আলভারেজ পেলেন তার প্রাপ্য ‘বিরতি’। এখন অপেক্ষা, বিশ্রাম শেষে আবার কতটা উদ্যম নিয়ে মাঠে ফেরেন তিনি।