নোটিশটি পাঠানো হয়েছে বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল), সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মো. হুমায়ুন কবির পল্লবের মাধ্যমে। এর অনুলিপি পৌঁছেছে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ছয়টি দফতরে—ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব, তথ্য ও সম্প্রচার সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, বিটিআরসি চেয়ারম্যান এবং পুলিশের মহাপরিদর্শকের দপ্তরে।
অভিযোগের সারাংশ
নোটিশে বলা হয়েছে, ফেসবুক, ইউটিউব, টিকটক, লাইকিসহ বিভিন্ন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে চিকিৎসক ও তারকাদের মাধ্যমে প্রকাশিত হচ্ছে অশ্লীল ভিডিও, যৌন উত্তেজক ওষুধের বিজ্ঞাপন এবং বিভ্রান্তিকর স্বাস্থ্য তথ্য। এসব কনটেন্ট সমাজে পারিবারিক অবক্ষয় সৃষ্টি করছে, এবং শিশু-কিশোরদের মানসিক ও সামাজিক বিকাশে মারাত্মক প্রভাব ফেলছে।
নোটিশে আরও দাবি করা হয়, পরিচিত ডাক্তার ও সেলিব্রেটিরা নিজেদের জনপ্রিয়তা ও লাভ বৃদ্ধির লক্ষ্যে এ ধরনের কনটেন্ট ছড়াচ্ছেন। বিশেষ করে ওষুধ এবং স্বাস্থ্য সামগ্রীর বিজ্ঞাপনে 'অশ্লীলতার মোড়কে' আকৃষ্ট করা হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।
হুঁশিয়ারি উচ্চারণ
‘ল’ অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশন’ তাদের আইনি নোটিশে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে আইনগত পদক্ষেপ না নিলে, তারা জনস্বার্থে হাইকোর্টে রিট দায়ের করবে। এর মাধ্যমে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণে বাধ্য করবে সরকারকে।
প্রশ্ন উঠছে নৈতিকতার সীমারেখা নিয়ে
এই ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে—সত্যিই কি চিকিৎসক বা তারকারা দায়িত্বশীল আচরণ করছেন? অর্থের লোভে সমাজে মূল্যবোধের বার্তা কি ভুলভাবে উপস্থাপিত হচ্ছে?



















