close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

নুর-রাশেদসহ গণঅধিকারের ২৫ জনের নামে মামলা গ্রহণের নির্দেশ..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
বরিশালে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে হামলার অভিযোগে গণঅধিকার পরিষদ সভাপতি নুরুল হক নুর, রাশেদ খানসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে মামলা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। অজ্ঞাতনামা আরও ৭০-৮০ জনকেও আসামি..

বরিশাল রাজনীতিতে উত্তেজনা চরমে — নুর-রাশেদসহ গণঅধিকার পরিষদের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে মামলা নিতে আদালতের নির্দেশ

বরিশালের রাজনীতি ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। জাতীয় পার্টির (জাপা) স্থানীয় কার্যালয়ে হামলার ঘটনায় গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাবেক ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুর, সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খানসহ শীর্ষস্থানীয় ২৫ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে মামলা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এই মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ৭০ থেকে ৮০ জনকেও আসামি করা হয়েছে।

৩ জুলাই (বৃহস্পতিবার) বরিশালের আদালত কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমানকে এই মামলাটি এজাহারভুক্ত করার নির্দেশ দেন। মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী ও জাতীয় পার্টির বরিশাল জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল জলিল এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মামলার প্রধান আসামি করা হয়েছে গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি নুরুল হক নুরকে। তালিকাভুক্ত অন্যান্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, বরিশাল জেলা সভাপতি এইচএম শামীম রেজা, সাধারণ সম্পাদক এইচএম হাসান এবং মহানগর সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন। তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনের আওতায় মামলা নেয়ার দাবি জানিয়ে আদালতে আবেদন করা হলে, আদালত তা আমলে নেন।

বাদী পক্ষের ভাষ্য অনুযায়ী, গত ৩১ মে রাতে বরিশাল নগরীর ফকিরবাড়ি রোডে অবস্থিত জাতীয় পার্টির স্থানীয় কার্যালয়ে গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা হামলা চালায়। এ সময় তারা কার্যালয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করে এবং উপস্থিত নেতাকর্মীদের ওপর মারধর করে বলে অভিযোগ উঠেছে।

অ্যাডভোকেট আব্দুল জলিল জানান, ঘটনার পর থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ তা গ্রহণ করেনি। বাধ্য হয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন তারা। আদালত পুরো বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে মামলার নির্দেশ দেন এবং তা থানায় পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।

এদিকে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, আদালতের কোনো সরাসরি কাগজপত্র এখনও তার হাতে পৌঁছেনি। তবে যদি ডিউটি অফিসার কোনো কাগজ গ্রহণ করে থাকেন, সেটি যথাসময়ে বুঝে নেয়া হবে বলে জানান তিনি।

গণঅধিকার পরিষদের বরিশাল মহানগরের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন এই মামলার বিষয়ে গণমাধ্যমকে জানান, “আমাদের কাছে এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক তথ্য নেই। তবে যদি সত্যি এমন কোনো মামলা হয়ে থাকে, তাহলে আমরা আইনি পথেই এর মোকাবিলা করব।”

প্রসঙ্গত, ৩১ মে বিকেলেও শহরে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। জাতীয় পার্টির একটি মিছিলে গণঅধিকার পরিষদের কিছু কর্মী হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছিল। সেই ঘটনার জেরে পাল্টা প্রতিরোধে জাপার নেতাকর্মীরাও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয় রাতে, যখন গণঅধিকার পরিষদ এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কিছু কর্মী জাপার কার্যালয়ে গিয়ে ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ রয়েছে।

এতদসত্ত্বেও একতরফা আইনি প্রক্রিয়া নয় বলেই মনে হচ্ছে। কারণ, ওই ঘটনার পর গণঅধিকার পরিষদের পক্ষ থেকেও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও মহাসচিবসহ কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে পাল্টা মামলা করা হয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

বরিশালের রাজনৈতিক অঙ্গনে যে ধরণের সংঘাত ও মামলা-পাল্টা মামলার সূচনা হয়েছে, তা শুধু দুই দলের মধ্যে নয় — বরং সামগ্রিকভাবে দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এখন দেখার বিষয়, তদন্তে কী উঠে আসে এবং আইন কীভাবে এই পরিস্থিতির সমাধান ঘটায়।

Nessun commento trovato