ইসরায়েলি পার্লামেন্ট স্পিকার আমীর ওহানা বলেছেন, বিশ্বের শান্তি প্রতিষ্ঠায় ট্রাম্পের অবদান অনন্য। তাই নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য তার চেয়ে যোগ্য কেউ নেই।
ইসরায়েলি পার্লামেন্ট নেসেটের স্পিকার আমীর ওহানা বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চেয়ে নোবেল শান্তি পুরস্কারের যোগ্য আর কেউ নেই। তার মতে, বিশ্বজুড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা ও ইসরায়েলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ট্রাম্পের ভূমিকা অনন্য, যা ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
ওহানা জানান, আগামী বছর ইসরায়েল সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত করবে। তিনি বলেন, “বিশ্বে এমন কোনো ব্যক্তি নেই, যিনি শান্তি প্রতিষ্ঠায় ট্রাম্পের মতো অবদান রেখেছেন। ট্রাম্প কেবল ইসরায়েলের মিত্র নন, বরং তিনি এমন একজন নেতা যিনি বাস্তব পদক্ষেপের মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যে স্থিতিশীলতা ফিরিয়েছেন।”
ওহানা আরও বলেন, “আমরা ইসরায়েলিরা কৃতজ্ঞ এক ব্যক্তির প্রতি—তিনি হলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিশেষ করে ইরানের সঙ্গে চলতি বছরের ১২ দিনের যুদ্ধের সময় এবং ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠায় তার দৃঢ় ভূমিকা ছিল অসামান্য। ট্রাম্পের কূটনৈতিক উদ্যোগ ছাড়া শান্তি সম্ভব হতো না।”
তিনি আবেগঘন কণ্ঠে বলেন, “হাজার বছর পরও, মাননীয় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প—ইহুদি জাতি আপনাকে মনে রাখবে। আমরা এমন একটি জাতি, যারা কৃতজ্ঞতা ভুলে না যায়। এই পৃথিবীতে এমন কেউ নেই, যিনি আপনার মতো শান্তির জন্য এতটা কাজ করেছেন।”
ওহানার এমন বক্তব্য ইসরায়েলি রাজনীতিতে এবং আন্তর্জাতিক মহলে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। অনেকে মনে করছেন, এই মন্তব্যের মধ্য দিয়ে ইসরায়েল আবারও যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের প্রতি তাদের গভীর আস্থার প্রকাশ ঘটিয়েছে। যদিও সমালোচকরা বলছেন, এটি রাজনৈতিকভাবে অনুপ্রাণিত মন্তব্য, কারণ ট্রাম্প প্রশাসন ইসরায়েলের প্রতি বরাবরই পক্ষপাতমূলক নীতি অনুসরণ করেছে।
তবুও ওহানার বক্তব্যে স্পষ্ট—ইসরায়েল ট্রাম্পকে শুধু রাজনৈতিক মিত্র হিসেবে নয়, বরং শান্তির দূত হিসেবেও দেখছে। তার নীতিগুলো, বিশেষ করে আরব দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণে ভূমিকা রাখা ‘আব্রাহাম চুক্তি’, আজও ইসরায়েলের কূটনীতিতে বড় সাফল্য হিসেবে বিবেচিত হয়।
বিশ্লেষকরা বলছেন, নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য ট্রাম্পের নাম মনোনয়ন দেওয়া ইসরায়েলের পক্ষ থেকে কূটনৈতিক বার্তা—যে তারা তাকে এখনও মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে প্রভাবশালী শান্তি স্থপতি হিসেবে দেখে।