close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

নোয়াখালীতে অটোচালককে হত্যা:মূলহোতা গ্রেপ্তার জহিরুল হক জহির, বিশেষ প্রতিনিধি, নোয়াখালী নোয়াখালী সদর উপজেলায় ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চালক বাবর হোসেন (..

Zohirul Hoque Zohir avatar   
Zohirul Hoque Zohir
খবর পেয়ে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করলেও তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও অটোরিকশা পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে এ ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনে র‍্যাবের একাধিক টিম কাজ করে। র‍্যাব আরো জানায়, গ্রেপ্তারের পর হত্যাকারী মামুন কে ..

নোয়াখালীতে অটোচালককে হত্যা:মূলহোতা গ্রেপ্তার

জহিরুল হক জহির, বিশেষ প্রতিনিধি, নোয়াখালী

 

নোয়াখালী সদর উপজেলায় ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চালক বাবর হোসেন (১৮)কে হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন ও ঘটনার মূল হোতাকে আটক করেছে র‍্যাব।

নিহত বাবর উপজেলার নোয়াখালী পৌরসভার ৭নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যম করিমপুর এলাকার মো.সেলিমের ছেলে।

মঙ্গলবার (১৫এপ্রিল) দুপুরের দিকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে র‍্যাব-১১,সিপিসি-৩ নোয়াখালী কোম্পানি কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত)সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মিঠুন কুমার কুণ্ডু বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এর আগে, গতকাল সোমবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার মাইজদীর তেলের পাম্প এলাকা থেকে মামুনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মনিরুল ইসলাম মামুন (৩০) নোয়াখালী পৌরসভার মধ্যম করিমপুর এলাকার তাজুল ইসলামের ছেলে। এ সময় তার কাছ থেকে বাবরের ব্যবহৃত মোবাইল ও হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি গেঞ্জি উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এখনো নিহত বাবরের ব্যবহৃত অটোরিকশার সন্ধান পাওয়া যায়নি।

র‍্যাব-জানায়,গত ৯এপ্রিল রাত সাড়ে ৯টার দিকে ভাড়া নিয়ে যাওয়ার পর থেকে আর নিখোঁজ ছিলো ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালক বাবর।এরপর থেকে স্বজনেরা বন্ধ পায় তার মুঠোফোন।

পরে বৃহস্পতিবার দুপুরে নোয়াখালী সদর উপজেলার কোম্পানিঘাট-সংলগ্ন স্লুইসগেট এলাকার একটি কবরস্থান সংলগ্ন জায়গা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।

খবর পেয়ে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করলেও তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও অটোরিকশা পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে এ ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনে র‍্যাবের একাধিক টিম কাজ করে।

র‍্যাব আরো জানায়, গ্রেপ্তারের পর হত্যাকারী মামুন কে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে সে হত্যাকান্ডে নিজে জড়িত থাকার বিষয়ে স্বীকার করে।

জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায়, কতিপয় ব্যক্তির কাছ থেকে ধার নেওয়া ৪৫ হাজার টাকার পরিবর্তে ৯০ হাজার টাকা (সুদ সহ) দিতে বাধ্য করায় অতিরিক্ত টাকা সংগ্রহে তার পরিচিত বাবরের অটোরিকশা বিক্রি করে টাকা সংগ্রহের উদ্দেশ্যে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে সে।

সেই পরিকল্পনা মোতাবেক তাকে নিয়ে দত্তেরহাট এসে ***** কৌশলে *** ট্যাবলেট খাইয়ে বিনোদপুর ইউনিয়নের জালিয়াল গ্রামের নির্জন বাগানে অটোরিকশা রেখে বাবরকে নিয়ে প্রথমে সোনাপুর যায়।

তারপর সিএনজি যোগে পূর্বচর উড়িয়ার সুইসগেট সংলগ্ন কৃষি অফিসের সামনের ডান দিকের নির্জন স্থানের সবজি বাগানে নিয়ে ঘুমের ঔষধ খাইয়ে দুর্বল করে, বাবরকে তার গায়ের লিলেন গেঞ্জি দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে সে।

 

র‍্যাব-১১,সিপিসি-৩ নোয়াখালীর কোম্পানি কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মিঠুন কুমার কুণ্ডু বলেন, ভিকটিমের স্যান্ডেল- বাঁশ ঝাড়ের পাশে এবং হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত লিলেন গেঞ্জিটি তার পাশের কলাবাগানে রেখে পালিয়ে যায় সে।

শুধু কেবল টাকার নেশায় সে হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে। আসামির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সুধারাম মডেল থানায় তাকে হস্তান্তর করা হয়েছে।

আসামির স্বীকারোক্তি বিজ্ঞ আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি হিসাবে রেকর্ড প্রক্রিয়াধীন আছে। এছাড়াও খোওয়া যাওয়া অটোরিকশা উদ্ধার ও অপরাপর সহযোগী আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।

জহিরুল হক জহির, বিশেষ প্রতিনিধি, নোয়াখালী

 

নোয়াখালী সদর উপজেলায় ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চালক বাবর হোসেন (১৮)কে হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন ও ঘটনার মূল হোতাকে আটক করেছে র‍্যাব।

নিহত বাবর উপজেলার নোয়াখালী পৌরসভার ৭নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যম করিমপুর এলাকার মো.সেলিমের ছেলে।

মঙ্গলবার (১৫এপ্রিল) দুপুরের দিকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে র‍্যাব-১১,সিপিসি-৩ নোয়াখালী কোম্পানি কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত)সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মিঠুন কুমার কুণ্ডু বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এর আগে, গতকাল সোমবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার মাইজদীর তেলের পাম্প এলাকা থেকে মামুনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মনিরুল ইসলাম মামুন (৩০) নোয়াখালী পৌরসভার মধ্যম করিমপুর এলাকার তাজুল ইসলামের ছেলে। এ সময় তার কাছ থেকে বাবরের ব্যবহৃত মোবাইল ও হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি গেঞ্জি উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এখনো নিহত বাবরের ব্যবহৃত অটোরিকশার সন্ধান পাওয়া যায়নি।

র‍্যাব-জানায়,গত ৯এপ্রিল রাত সাড়ে ৯টার দিকে ভাড়া নিয়ে যাওয়ার পর থেকে আর নিখোঁজ ছিলো ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালক বাবর।এরপর থেকে স্বজনেরা বন্ধ পায় তার মুঠোফোন।

পরে বৃহস্পতিবার দুপুরে নোয়াখালী সদর উপজেলার কোম্পানিঘাট-সংলগ্ন স্লুইসগেট এলাকার একটি কবরস্থান সংলগ্ন জায়গা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।

খবর পেয়ে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করলেও তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও অটোরিকশা পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে এ ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনে র‍্যাবের একাধিক টিম কাজ করে।

র‍্যাব আরো জানায়, গ্রেপ্তারের পর হত্যাকারী মামুন কে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে সে হত্যাকান্ডে নিজে জড়িত থাকার বিষয়ে স্বীকার করে।

জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায়, কতিপয় ব্যক্তির কাছ থেকে ধার নেওয়া ৪৫ হাজার টাকার পরিবর্তে ৯০ হাজার টাকা (সুদ সহ) দিতে বাধ্য করায় অতিরিক্ত টাকা সংগ্রহে তার পরিচিত বাবরের অটোরিকশা বিক্রি করে টাকা সংগ্রহের উদ্দেশ্যে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে সে।

সেই পরিকল্পনা মোতাবেক তাকে নিয়ে দত্তেরহাট এসে ***** কৌশলে *** ট্যাবলেট খাইয়ে বিনোদপুর ইউনিয়নের জালিয়াল গ্রামের নির্জন বাগানে অটোরিকশা রেখে বাবরকে নিয়ে প্রথমে সোনাপুর যায়।

তারপর সিএনজি যোগে পূর্বচর উড়িয়ার সুইসগেট সংলগ্ন কৃষি অফিসের সামনের ডান দিকের নির্জন স্থানের সবজি বাগানে নিয়ে ঘুমের ঔষধ খাইয়ে দুর্বল করে, বাবরকে তার গায়ের লিলেন গেঞ্জি দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে সে।

 

র‍্যাব-১১,সিপিসি-৩ নোয়াখালীর কোম্পানি কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মিঠুন কুমার কুণ্ডু বলেন, ভিকটিমের স্যান্ডেল- বাঁশ ঝাড়ের পাশে এবং হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত লিলেন গেঞ্জিটি তার পাশের কলাবাগানে রেখে পালিয়ে যায় সে।

শুধু কেবল টাকার নেশায় সে হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে। আসামির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সুধারাম মডেল থানায় তাকে হস্তান্তর করা হয়েছে।

আসামির স্বীকারোক্তি বিজ্ঞ আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি হিসাবে রেকর্ড প্রক্রিয়াধীন আছে। এছাড়াও খোওয়া যাওয়া অটোরিকশা উদ্ধার ও অপরাপর সহযোগী আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।

 

Ingen kommentarer fundet