close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

ন্যূনতম সংস্কার ছাড়া নির্বাচন নয়: মির্জা ফখরুলের গুরুত্বপূর্ণ বার্তা

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
দেশে ন্যূনতম সংস্কার কাজ শেষ করে তবেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন হওয়া উচিত বলে দাবি জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) জাতী
দেশে ন্যূনতম সংস্কার কাজ শেষ করে তবেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন হওয়া উচিত বলে দাবি জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবে একটি আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে তিনি এই দাবি করেন। তাঁর বক্তব্যে উঠে এসেছে সংস্কার, গণতান্ত্রিক কাঠামো এবং ধৈর্যের মতো বিষয়গুলো। সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা ও বর্তমান অবস্থা মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সংস্কারের প্রস্তাবগুলো ইতোমধ্যেই আসা শুরু হয়েছে। আমরা আশা করছি, প্রধান উপদেষ্টা সকল পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে একটি গ্রহণযোগ্য সিদ্ধান্ত নেবেন। নির্বাচিত সরকারের ম্যান্ডেট সবসময় বেশি গ্রহণযোগ্য। তাই অনির্বাচিত সরকারের তুলনায় নির্বাচিত সরকারই সঠিক পথ। তবে আমরা এখনই নির্বাচন চাই না; আগে ন্যূনতম সংস্কার শেষ হোক।’ তিনি আরও বলেন, ‘সরকারকে জনগণের ভাষা বুঝতে হবে। তাদের দাবিগুলোকে গুরুত্ব দিতে হবে। কারণ জনগণের চাওয়া এবং ম্যান্ডেটই দেশের অগ্রগতির মূল ভিত্তি।’ সবার প্রতি ধৈর্যের আহ্বান দেশের বর্তমান অস্থির পরিস্থিতিতে ধৈর্য ধারণের গুরুত্ব তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘প্রতিদিন মানুষ দাবি নিয়ে রাস্তায় নামছে। কিন্তু ধৈর্য ধরতে হবে। হঠকারী কোনো কিছু করা যাবে না। অতিবিপ্লবী চিন্তাভাবনা দেশের অস্থিরতা বাড়াবে। তাই এমন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া উচিত নয় যা পরিস্থিতিকে আরও নাজুক করে তুলবে।’ রাষ্ট্র ও সুযোগের ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশনা মির্জা ফখরুল স্বীকার করেন যে দেশের বর্তমান পরিস্থিতি দ্রুত পরিবর্তন সম্ভব নয়। তিনি বলেন, ‘যেভাবে আমরা চাই, রাষ্ট্র সেভাবে তৈরি হয়নি। ভুলত্রুটি থাকবে, তবে এই অবস্থার উন্নতির জন্য যে সুযোগ পেয়েছি, তা যথাযথভাবে কাজে লাগাতে হবে। সংস্কারের যে প্রস্তাব এসেছে, তাতে ভালো কিছু হওয়ার সম্ভাবনা আছে। আমরা যদি গণতান্ত্রিক কাঠামোয় এগিয়ে যেতে পারি, তবে দেশের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এই মুহূর্তে সব কিছু পাল্টে দেওয়া সম্ভব নয়। দেশের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে ধৈর্যের বিকল্প নেই। প্রত্যাশা অনেক, কিন্তু ধৈর্যের অভাব থাকলে কোনো ফল আসবে না। তাই নৈরাজ্য সৃষ্টির মতো কিছু করা যাবে না।’মির্জা ফখরুলের বক্তব্যে উঠে এসেছে দেশের রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য সংস্কার ও ধৈর্যের প্রয়োজনীয়তা। তাঁর মতে, সাম্প্রতিক সময়ের যে অস্থিরতা, তা নিয়ন্ত্রণে সবার সহযোগিতা দরকার। সবার জন্য গ্রহণযোগ্য নির্বাচন এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য আগে ন্যূনতম সংস্কার কার্যকর হওয়া প্রয়োজন। এমন একটি অবস্থায় তাঁর এই বার্তা জাতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
نظری یافت نشد