আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল জানিয়েছেন, জুলাই সনদ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো নিষ্ঠার সঙ্গে আলোচনায় অংশ নিয়েছে এবং এই ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবে তারা সনদে সই করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন উত্তেজনা তৈরি করেছে জুলাই সনদ ইস্যু। এই সনদ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলা আলোচনার মধ্যে এবার আশাবাদী বার্তা দিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। তিনি বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলো নিষ্ঠার সঙ্গে আলোচনায় অংশ নিয়েছে, আর এই নিষ্ঠার ধারাবাহিকতা বজায় রেখেই তারা জুলাই সনদে সই করবে বলে তার দৃঢ় বিশ্বাস।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, “রাজনৈতিক দলগুলো অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে জুলাই সনদ নিয়ে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেছেন। আমি জানি না তারা শেষ পর্যন্ত কী সিদ্ধান্ত নেবেন, তবে আমার দৃঢ় বিশ্বাস—এই নিষ্ঠার ধারাবাহিকতায় তারা সনদে সই করবেন।”
তিনি আরও বলেন, “মূল মতভেদ শুধু বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে। তবে আমি মনে করি, এখানে সবাই শেষ পর্যন্ত সাইন করবে।”
এ সময় আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়েও কথা বলেন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। তিনি বলেন, “যখনই কোনো অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আসে, তখনই নির্বাচন নিয়ে নানা শঙ্কা দেখা দেয়। তবে আমাদের সরকারের পক্ষ থেকে স্পষ্টভাবে বলতে চাই—ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন আয়োজনের জন্য আমরা বদ্ধপরিকর। কোনো দ্বিতীয় চিন্তা বা দ্বিধা নেই, এমনকি আলোচনা পর্যায়েও এই বিষয়ে কোনো পরিবর্তন আনার কথা আমরা ভাবিনি।”
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, জুলাই সনদে রাজনৈতিক দলগুলোর স্বাক্ষর দেশের রাজনৈতিক অচলাবস্থা নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এটি নির্বাচন প্রক্রিয়ায় আস্থা ফিরিয়ে আনবে এবং শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক পরিবেশ গঠনে সহায়তা করবে।
ড. আসিফ নজরুলের বক্তব্যে স্পষ্ট ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে যে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এখন সব দলের ঐকমত্যের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। যদিও এখনও আনুষ্ঠানিক স্বাক্ষরের তারিখ ঘোষণা হয়নি, তবে রাজনৈতিক মহল আশা করছে, আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই জুলাই সনদে সই করবে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো।
এই সনদে সইয়ের মধ্য দিয়েই হয়তো বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা হবে—যেখানে পারস্পরিক আস্থা, সহযোগিতা এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচনী পরিবেশের মাধ্যমে গণতন্ত্রের বিকাশ আরও সুসংহত হবে।