ফরিদপুর জেলায় 'নিষিদ্ধ ঘোষিত' বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নাম ব্যবহার করে একটি মশাল মিছিলের ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে। সজীব আহমেদ নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে 'ফরিদপুর সিটি গ্রুপ' আইডিতে শেয়ার হওয়া পোস্টে দেখা যায়, গতকাল (৫ ডিসেম্বর) গভীর রাতে, আনুমানিক ১২টা থেকে ১টার মধ্যে, এই মিছিলটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়ক ধরে এগিয়ে যায়।
মিছিলের অগ্রভাগে অংশগ্রহণকারীরা হাতে মশাল ধরে এবং একটি বিশাল ব্যানার বহন করে, যেখানে “জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু” স্লোগান দিতে শোনা যায়। ব্যানারে স্পষ্টভাবে লেখা ছিল: “অবৈধ দখলকারী ইউনুস সরকারের আইসিটি আদালতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা সহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে অবৈধ রায়ের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল”। ব্যানারের নিচে উদ্যোক্তা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে “বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, ফরিদপুর জেলা শাখা”র নাম। এই মিছিলটি ফরিদপুর শহরের আঙ্গিনার সামনে অনুষ্ঠিত হয় বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
যে সংগঠনটি প্রকাশ্যে নিজেদের 'নিষিদ্ধ ঘোষিত' হিসেবে পরিচয় দিচ্ছে, তার ব্যানারে রাতের বেলায় মশাল মিছিলের মতো কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হওয়া সত্ত্বেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ বা পদক্ষেপ না নেওয়ায় পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করেছে। একটি নিষিদ্ধ সংগঠনের এমন প্রকাশ্য কার্যকলাপে প্রশাসন কীভাবে নিশ্চুপ থাকতে পারে, তা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে।
এ বিষয়ে প্রশাসনিক বক্তব্য জানতে ফরিদপুর সদর সার্কেল এএসপি এবং ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সরকারি মোবাইল ফোন নাম্বারে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তারা কেউই ফোন রিসিভ করেননি। গুরুত্বপূর্ণ একটি রাজনৈতিক কর্মসূচির বিষয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর এই নীরবতা ও সাড়াহীনতা পরিস্থিতির রহস্য আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।



















