জনগণের ইচ্ছাই হবে পরিবর্তনের একমাত্র পথ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি নেতা আমীর খসরু। তিনি বলেন, কোনও কমিশন নয়, জনগণই ভোটের মাধ্যমে তাদের ভবিষ্যৎ ঠিক করবে।
নির্বাচন, গণতন্ত্র ও ভবিষ্যৎ নির্ধারণ—এই তিনটি শব্দ নিয়ে যখন দেশজুড়ে চরম অনিশ্চয়তা বিরাজ করছে, তখন এক জোরালো বার্তা দিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
তিনি বলেছেন, পরিবর্তন জনগণের মালিকানায় আসতে হবে। জনগণের উপর পরিবর্তন চাপিয়ে দেওয়া যাবে না।
শনিবার (৫ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে বাংলাদেশ জাসদ আয়োজিত ‘অপূর্ণ জাতীয় আকাঙ্ক্ষা ও জুলাই গণঅভ্যুত্থান’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এই মন্তব্য করেন।
আমীর খসরু বলেন, কোনো কমিশন বা ঢাকায় বসে থাকা ব্যক্তিরা দেশের সমস্যার সমাধান করতে পারবে না। জনগণই নির্বাচনের মাধ্যমে তাদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে।" তিনি আরও বলেন, "গণতন্ত্র শুধু রাজনীতির মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং তা অর্থনীতি ও সমাজ ব্যবস্থাতেও জরুরি। আজ আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে জনগণের মালিকানা প্রতিষ্ঠায়।
তিনি আরও যোগ করেন, একটা কমিশন হয়েছে, সেখানে সবাই যাচ্ছে, মতামত দিচ্ছে। যতটুকু ঐকমত্য সম্ভব, তা আপনি করতে পারবেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে, আমরা তো সব বাকশাল করতে বসি নাই।
এই আলোচনায় অন্যান্য নেতারাও নিজের অবস্থান তুলে ধরেন। বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, এতগুলো কমিশন হয়েছে, কিন্তু বৈষম্যবিরোধী কোনও কমিশন গঠন হয়নি।
তিনি আরও বলেন, সরকার যদি চায়, তাহলে আগামী ৩ থেকে ৪ মাসের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক করে নির্বাচন আয়োজন সম্ভব। কিন্তু যদি নির্বাচন অনিশ্চিত থাকে, তাহলে তা নৈরাজ্যের দিকে যেতে পারে।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ জাসদের সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়া। এতে আরও বক্তব্য রাখেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জহির উদ্দিন স্বপন, বাসদের সহকারী সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন ও সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স।
গণতন্ত্র, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন ও জনগণের ইচ্ছার প্রতি শ্রদ্ধাশীল রাজনীতি—এই তিনটির সমন্বয়েই আগামী দিনে বাংলাদেশে স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে বলে মত দেন আলোচকরা।