close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

নির্বাচনে সুষ্ঠুতা চাই চীনের! বিএনপি সফরে বেইজিংয়ে চাঞ্চল্যকর বার্তা..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
চীনে বিএনপি প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রত্যাশা জানাল বেইজিং। দ্বিপাক্ষিক সহায়তা ও নতুন সরকারের সঙ্গে কাজ করার আগ্রহও প্রকাশ করল চীন।..

চীনের সরকার বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চায়—এমন বার্তা দিয়েছে চীনের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী সান ওয়েডং। বেইজিং সফরে থাকা বিএনপির প্রতিনিধি দলের সঙ্গে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে এ মন্তব্য করেন তিনি। বৈঠকে আরও উঠে এসেছে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, উন্নয়ন সহায়তা ও ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক সহযোগিতার নানা দিক।

মঙ্গলবার (২৪ জুন) স্থানীয় সময় সকাল ১১টায় চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বৈঠক করেন। এটি তাদের সফরের দ্বিতীয় দিনের কর্মসূচির অংশ।

চীনের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী বৈঠকে বলেন, “বাংলাদেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন প্রত্যাশা করে চীন। আমরা একটি স্থিতিশীল ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ দেখতে চাই।” তিনি আরও যোগ করেন, “নতুন যে সরকার আসবে, তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে আমরা অপেক্ষা করছি।”

এ সময় বিএনপির পক্ষ থেকে বাংলাদেশের বিভিন্ন খাত, বিশেষ করে কৃষি, শিল্প, গার্মেন্টস, স্বাস্থ্য ও অবকাঠামো খাতে চীনের বিদ্যমান সহায়তার কথা তুলে ধরা হয়। মির্জা ফখরুল বলেন, “চীনের অব্যাহত সহায়তা বাংলাদেশের উন্নয়নকে আরও গতিশীল করেছে। আমরা চাই এই সহায়তা আরও জোরদার হোক।”

বৈঠকে বাণিজ্য খাতে ভারসাম্য আনার বিষয়টিও গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, “বর্তমানে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যকার বাণিজ্য অসমতা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। চীন চাইলে খুব সহজেই এ ভারসাম্য ঠিক করতে পারে।”

এছাড়া আধুনিক প্রযুক্তি স্থানান্তর, কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি, মানবসম্পদ উন্নয়ন ও শিক্ষা খাতে চীনের সহায়তা বৃদ্ধির আহ্বান জানানো হয় বিএনপির পক্ষ থেকে।

বৈঠক শেষে মির্জা ফখরুল সাংবাদিকদের জানান, “চীনের সঙ্গে আমাদের ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। আজকের আলোচনা অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়েছে। আমরা আশা করি, ভবিষ্যতেও চীন আমাদের পাশে থাকবে।”

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এ বৈঠক শুধু বিএনপির কূটনৈতিক উদ্যোগ নয়, বরং চীনের পক্ষ থেকেও বাংলাদেশ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের একটি কৌশল। বিশেষ করে আগামী জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি এখন বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনের দিকে।

চীন যে বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের বার্তা দিয়েছে, এটি বিএনপির জন্য একটি কূটনৈতিক সফলতা বলেও মন্তব্য করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

এছাড়া এই বৈঠকের মাধ্যমে চীন এটাও স্পষ্ট করল যে, তারা কোনো নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দল নয়, বরং বাংলাদেশের জনগণের ম্যান্ডেটপ্রাপ্ত সরকারকেই সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।

চীনের পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে বৈঠক শেষে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়, যেখানে বলা হয়, “বাংলাদেশ আমাদের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। আমরা বাংলাদেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন কামনা করি এবং আশা করি সকল পক্ষ একটি অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিশ্চিত করবে।”

অন্যদিকে, বিএনপির পক্ষ থেকেও বলা হয়, “এই সফর আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চীনের মতো গুরুত্বপূর্ণ দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখা এবং ভবিষ্যতের সরকার ব্যবস্থায় আন্তর্জাতিক সহায়তা নিশ্চিত করার বিষয়টি আমাদের কূটনীতির অংশ।”

没有找到评论