close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

নিম্নমানের ইট দিয়ে তৈরি হচ্ছে সড়ক স্থানীয়দের ক্ষোভ কার্যত পদক্ষেপ নেই এলজিইডির..

abul hasan avatar   
abul hasan
ঠাকুরগাঁওয়ে এলজিইডির নতুন সড়ক নির্মাণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। কাঁচা সড়ক পাঁকাকরণে ব্যবহার করা হচ্ছে নিম্নমানের ইট। এতে ক্ষুদ্ধ হয়ে প্রতিবাদে নেমেছেন স্থানীয়রা।..


অনিয়ম বন্ধে বার বার এলজিইডি কর্তৃপক্ষকে অবগত করলেও অজ্ঞাত কারনে কার্যত প্রদক্ষেপ নেই স্থানীয়দের।
এলজিইডি সুত্র থেকে জানা গেছে, প্রায় দুই কোটি টাকা ব্যয়ে রংপুরের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ পান। নিয়ম না থাকলেও  পরবর্তিতে স্থানীয় এক ঠিকাদারের কাছে কাজটি বিক্রী দেন ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
আর সেই কাজটি জেলার রানীশংকৈল উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের বড় নুনতোর গ্রামের ভিতর দিয়ে দেড় কিলোমিটার রাস্তা পাঁকারণের কাজ শুরু করেন স্থানীয় এক ইট ভাটার মালিক আবু সাইদ। কাজটি বাস্তবায়নে নিজের ইটভাটার সবচেয়ে নিম্নমানের ইট এনে সড়ক নির্মান করছেন। এতেই ক্ষুদ্ধ স্থানীয়রা।
প্রায় মাস খানেক ধরে এমন অনিয়ম চলমান থাকলেও কার্যত প্রদক্ষেপ নেই সংশ্লিস্ট কর্তৃপক্ষের। অথচ বার বার প্রতিবাদের মুখে দাড়িয়েছেন তারা। অজ্ঞাত কারনে কাজ এখন চলমান নিম্নমানের ইট দিয়েই।
ওই এলাকার নুর ইসলাম, ধনিবুল্লাহ, আনোয়ার হোসেনসহ অনেকেই অভিযোগ করে বলেন, প্রথমে নিম্নমানের বালু যেখানে মাটি মিশ্রিত বালু ব্যবহার করেছে ঠিকাদারের লোকজন। বাঁধা দিলে মানেনি। এখন নিম্নমানের খোয়া ফেলছে রাস্তায়। যেগুলো হাত দিয়ে ভাঙ্গা যাচ্ছে। এভাবে রাস্তা পাঁকাকরণ হলে দেড় দুই বছর পর আবার নষ্ট হয়ে যাবে। জানা গেছে ঠিকাদার কাজটা আরেকজনের কাছে বিক্রি করে দিয়েছে। আর সে কারনে তরিঘরি করে কাজ বাস্তবায়নের চেস্টা চলছে।
কয়েকবার ঠিকাদারের ট্রলি আটকে দিয়েছিল গ্রামবাসী। নিম্নমানের খোয়া ফেলতে দেয়নি। তখন নিম্নমানের খোয়া না ফেলার প্রতিশ্রুতি দিয়ে গাড়ী ফিরিয়ে নিয়ে গিয়ে আরেক প্রান্তে ফেলে যায়। এরপরে রাতের আধারে সব খোয়া ফেলেছে ঠিকাদারের লোকজন।
এ কাজের দায়িত্বে থাকা সহকারী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমানকে একাধিকবার জানালেও তিনি কর্ণপাত করেনি। সবাই যেন, টাকা খেয়ে মুখে কুলুপ এটেছে। পরবর্তিতে উপজেলা প্রকৌশলী আনিসুর রহমানকে জানালেও কোন প্রদক্ষেপ নেননি। অজ্ঞাত কারনে তারা চুপচাপ এই সুযোগে কাজ বাস্তবায়ন করে সরকারের লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার চেস্টা করছেন।
গ্রামের ভেতর সড়কটির কাজ চলমান থাকলেও জেলার উর্ধতন কর্তৃপক্ষের তদারিকি ছাড়াই খেয়াল খুশিমত রাস্তা নির্মাণের কাজ করছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটির বিক্রি করে দেয়া কাজ। এসব অনিয়ম  বন্ধ করে ভালো মানের রাস্তা নির্মাণের দাবি এলাকার লোকজনের।
এ বিষয়ে কাজ বাস্তবায়নের সাথে জড়িত আবু সাঈদ জানান, আমি কি কাজ করছি তা এলজিইডি কর্তৃপক্ষ অবগত। খারাপ কাজ মনে হলে ব্যবস্থা নিবে। এর বাইরে তিনি আর কোন কথা বলতে রাজি হয়নি।
কাজ দেখভালের দায়িত্বে থাকা সহকারী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান স্বীকার করে বলেন কাজে অনিয়ম হচ্ছে নিম্নমানের ইট ব্যবহার করা হচ্ছে। বিষয়টি উপজেলা প্রকৌশলীকে জানানো হয়েছে।
প্রকৌশলী আনিছুর রহমান জানান, কাজটি অনেক দুরে এবং ৩ দিন অফিস ছুটি থাকায় দেখাশোনা করা সম্ভব হয়নি। তবে খোঁজ খবর নেয়া হবে। অনিয়ম বা নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হলে তা খতিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া আশ্বাস দেন তিনি।
এ বিষয়ে এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন বিশ্বাস জানান, কাজ ভাল না হলে ঠিকাদারের বিল বন্ধ করে দেয়া হবে। তবে বিষয়টি জেনেছি। তা খতিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Keine Kommentare gefunden