close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

নগরভবনে ফের উত্তাল ইশরাকপন্থীরা”

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের রায় এবং নির্বাচন কমিশনের গেজেট প্রকাশের পরও বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে শপথ না পড়ানোয় আজ ফের বিক্ষোভে ফেটে পড়ে তাঁর সমর্থকেরা। নগর ভবনে কার্..

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র হিসেবে ইশরাক হোসেনকে শপথ না পড়ানোয় আজ রোববার ফের নগর ভবন ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেছেন তাঁর সমর্থকেরা। সকাল ১০টার পর থেকেই তাঁরা নগর ভবনের সামনে জড়ো হতে থাকেন, মূল ফটক বন্ধ করে তৈরি করেন প্রতিবাদের মঞ্চ। এই বিক্ষোভের কারণে করপোরেশনের স্বাভাবিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে।

ইশরাকপন্থীদের দাবি, আইনানুযায়ী ট্রাইব্যুনালের রায়ের পরপরই মেয়র হিসেবে শপথ গ্রহণের সুযোগ থাকা সত্ত্বেও তাঁকে ইচ্ছাকৃতভাবে আটকে রাখা হয়েছে, যা গণতন্ত্র ও ভোটের প্রতি অবমাননার শামিল। তাঁদের ভাষায়, গেজেট প্রকাশ হওয়ার এক মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো শপথ না করানো এক ধরনের প্রশাসনিক ষড়যন্ত্র।

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপস প্রায় পৌনে দুই লাখ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হন। বিএনপির আন্তর্জাতিকবিষয়ক কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেন তখন এই ফল প্রত্যাখ্যান করে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন।

চলতি বছরের ২৭ মার্চ ট্রাইব্যুনাল শেখ তাপসের বিজয় বাতিল করে ইশরাক হোসেনকে বৈধ মেয়র ঘোষণা করে। এর পরপরই ২৭ এপ্রিল নির্বাচন কমিশন আনুষ্ঠানিকভাবে গেজেট প্রকাশ করে।

তবে বিষয়টি আরও জটিল হয় ১৪ মে, ডিএসসিসির বাসিন্দা ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মামুনুর রশিদের করা এক রিট আবেদনের পর। তিনি শপথ গ্রহণ ঠেকাতে হাইকোর্টে আবেদন করেন। কয়েক দফা শুনানি শেষে হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই রিট খারিজ করে দেয়, যা ইশরাকের সমর্থকদের জন্য স্বস্তির হলেও, এখনো তাঁকে আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ পড়ানো হয়নি।

এ নিয়ে আজকের বিক্ষোভে অংশ নেওয়া একাধিক কর্মী অভিযোগ করেন, “গেজেটের পরও শপথ না হওয়া আইন ও সংবিধানের প্রতি উপহাস। আমরা জনগণের ভোটে নির্বাচিত মেয়রের অধিকার আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাব।”

তাঁরা জানান, পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী নগর ভবন প্রাঙ্গণে তারা লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন। এর আগেও গত ১৪ মে থেকে ‘ঢাকাবাসী’ ব্যানারে সমর্থকেরা নগর ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন।

এদিকে, ডিএসসিসির প্রশাসনিক কর্মকর্তারা জানান, নিরাপত্তার কারণে নগর ভবনে প্রবেশ ও বহির্গমন সীমিত করা হয়েছে। তবে পরিস্থিতি শান্ত রাখতে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

নগর ভবনের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “সেবা কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটছে ঠিকই, কিন্তু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা চলছে।”

 

ইশরাক হোসেনকে শপথ না পড়ানো নিয়ে রাজধানীর রাজনীতি ও প্রশাসনিক মহলে তৈরি হয়েছে এক অস্বস্তিকর অচলাবস্থা। গেজেট প্রকাশের পরও কেন তাঁর শপথ হচ্ছে না—সেই প্রশ্ন এখন শুধু তাঁর সমর্থকদের নয়, পুরো নগরবাসীর মনে। আন্দোলনের ধারাবাহিকতা ও আইনি প্রেক্ষাপট ইঙ্গিত দিচ্ছে, এই ইস্যু অচিরেই জাতীয় রাজনীতিতে বড় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হতে পারে।

没有找到评论