close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

নেপালের রাষ্ট্রপতির কাছে বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূতের পরিচয়পত্র পেশ..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
নেপালের রাষ্ট্রপতির কাছে পরিচয়পত্র পেশ করলেন বাংলাদেশের নতুন রাষ্ট্রদূত শফিকুর রহমান। উষ্ণ অভ্যর্থনার জন্য কৃতজ্ঞতা জানিয়ে দুই দেশের সম্পর্কের নতুন অধ্যায়ের সূচনা করলেন তিনি।..

নেপালে নিযুক্ত বাংলাদেশের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত শফিকুর রহমান আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর কূটনৈতিক দায়িত্বের সূচনা করলেন। সোমবার (২৩ জুন) নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে অবস্থিত রাষ্ট্রপতি ভবনে এক আনুষ্ঠানিক আয়োজনে তিনি দেশটির রাষ্ট্রপতি রামচন্দ্র পৌদেলের কাছে তাঁর পরিচয়পত্র পেশ করেন।

এই গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক মুহূর্তে রাষ্ট্রদূত শফিকুর রহমান রাষ্ট্রপতির কার্যালয় এবং নেপালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উষ্ণ ও সদয় অভ্যর্থনার জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি বলেন, “নেপালের মাটিতে আমার দায়িত্ব পালনের যাত্রা শুরু হলো এই সম্মানজনক পরিচয়পত্র পেশের মাধ্যমে। দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরো গভীর ও কার্যকর করতে আমি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

নেপালের রাষ্ট্রপতি রামচন্দ্র পৌদেলও বাংলাদেশ ও নেপালের দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের প্রশংসা করেন এবং আশা প্রকাশ করেন যে রাষ্ট্রদূত শফিকুর রহমানের নেতৃত্বে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও উন্নত হবে।

রাষ্ট্রদূত শফিকুর রহমান এর আগে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পশ্চিম এশিয়া অনুবিভাগের মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। কূটনৈতিক অঙ্গনে তাঁর অভিজ্ঞতা এবং সুদক্ষ নেতৃত্ব তাকে এই গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে নিয়ে এসেছে।

রাজনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদারের ইঙ্গিত

দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা প্রসঙ্গে রাষ্ট্রদূত জানান, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে নেপালের সাথে বাণিজ্য, পর্যটন, জ্বালানি ও শিক্ষা খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির পরিকল্পনা রয়েছে। একই সঙ্গে দুই দেশের জনগণের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় ও বন্ধুত্বপূর্ণ সংযোগকে বাড়ানোর ওপর জোর দেন তিনি।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যকার এই সম্পর্ক কেবল দুই দেশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না, বরং দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক সংযোগ ও সমন্বয়ের দিকেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, শফিকুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ-নেপাল সম্পর্ক একটি নতুন গতিপথে প্রবেশ করবে। তাঁর পূর্ব অভিজ্ঞতা এবং দক্ষ নেতৃত্ব এ অঞ্চলে বাংলাদেশের কূটনৈতিক উপস্থিতিকে আরও শক্তিশালী করবে।

এভাবে রাষ্ট্রদূতের পরিচয়পত্র পেশের মধ্য দিয়ে কেবল আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়নি, বরং দুই বন্ধুসুলভ দেশের বন্ধনের এক নতুন অধ্যায় রচিত হলো, যা ভবিষ্যতে দুই জাতির জন্যই কল্যাণ বয়ে আনবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

Không có bình luận nào được tìm thấy