close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

নববর্ষ উদযাপনে আতশবাজি ও ফানুসের কারণে বাড়ছে শব্দ ও বায়ুদূষণ: ক্যাপসের ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
ইংরেজি নববর্ষ উদযাপনে আতশবাজি ও ফানুস পোড়ানোতে বেড়ে যাচ্ছে শব্দ ও বায়ুদূষণ। ২০১৭ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে নববর্ষ উদযাপনের সময় বায়ুদূষণ বেড়েছে ১৯ শতাংশ, যেখানে ২০১৭
ইংরেজি নববর্ষ উদযাপনে আতশবাজি ও ফানুস পোড়ানোতে বেড়ে যাচ্ছে শব্দ ও বায়ুদূষণ। ২০১৭ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে নববর্ষ উদযাপনের সময় বায়ুদূষণ বেড়েছে ১৯ শতাংশ, যেখানে ২০১৭-১৮ সালে দূষণের মাত্রা ছিল সর্বোচ্চ ৬৬ শতাংশ। তবে ২০২২-২৩ সালে এটি ছিল মাত্র ৬ শতাংশ। প্রতি বছর এই সময়ে শব্দদূষণও ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। ২০২৩ ও ২০২৪ সালের নববর্ষ উদযাপনের সময় বায়ুদূষণ যথাক্রমে ৩৬ শতাংশ এবং ৩৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। একই সঙ্গে শব্দদূষণ ১০২ শতাংশ (২০২৩) এবং ৪২ শতাংশ (২০২৪) বৃদ্ধি পেয়েছে। বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস) এর গবেষণা অনুযায়ী, রাত ১২টা থেকে আতশবাজি ও ফানুস পোড়ানোর ফলে বাতাসে ক্ষতিকর বস্তুকণা এবং শব্দের মাত্রা অত্যধিক বৃদ্ধি পায়, যা স্বাস্থ্যঝুঁকি সৃষ্টি করে। ক্যাপসের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার সংবাদ সম্মেলনে বলেন, গত সাত বছরে নববর্ষ উদযাপনের দিনে কখনও বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে ছিল না, যা ভালো বায়ু হিসেবে ধরা হয়। তিনি আরও জানান, ৩১ ডিসেম্বর রাতে আতশবাজি ও ফানুসের কারণে বায়ুমান সূচক বিপদজনকভাবে বেড়ে যায় এবং শব্দ দূষণের মাত্রা ৮৫ ডেসিবল থেকে ১১০ ডেসিবল পর্যন্ত পৌঁছে, যা নির্ধারিত মানের অনেক ওপরে। এ পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ পেতে ক্যাপস ছয়টি সুপারিশ করেছে, যার মধ্যে রয়েছে আতশবাজি ও ফানুসের ব্যবহার বন্ধ করা, পরিবেশবান্ধব উদযাপন পদ্ধতির প্রবর্তন, এবং শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণের জন্য শক্ত আইন প্রণয়ন। সুপারিশগুলো বাস্তবায়িত হলে নববর্ষ উদযাপন এবং পরিবেশ সুরক্ষার মধ্যে একটি সঠিক ভারসাম্য রক্ষা সম্ভব হবে।
Không có bình luận nào được tìm thấy