close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

নবান্ন উপলক্ষে দুপচাঁচিয়ায় ঐতিহ্যবাহী বিশাল মাছের মেলা অনুষ্ঠিত..

Sushanto Malakar avatar   
Sushanto Malakar
সুশান্ত মালাকার নিজস্ব প্রতিনিধিঃ 

 

 

 

নবান্ন উপলক্ষে বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় ঐতিহ্যবাহী  বিশাল মাছের মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সনাতন ধর্মাবলম্বীরা নানা আচার-অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়েপালন করেছেন নবান্ন উৎসব। আর এ উৎসবকে কেন্দ্র করে এলাকায় বসেছে বৃহৎ ঐতিহ্যবাহী বড় মাছের মেলা। উপজেলা মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির আয়োজনে গত ১৭ নভেম্বর সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার ১৮ নভেম্বর দিনব্যাপী দুপচাঁচিয়া সিও অফিস বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বসে এই বিশাল মাছের মেলা।নবান্নের আগের দিন সন্ধ্যা থেকেই বিভিন্ন জেলা  ও উপজেলা থেকে পিকআপ, ট্রাক ও ভটভটিতে করে সারি সারি বড় বড় মাছ আসতে শুরু হয় মেলায়। উপজেলার আসে পাশে গ্রাম ছাড়াও দূর দুরান্তে থেকে আসে মানুষের গমা গমে শব্দে, আর কাছাকাছি গেলে শোনা যায় মাছ বিক্রেতাদের ডাকডাকি। রাতভর ও পরদিন সকাল থেকে দিনব্যাপী চলে মাছ কেনাবেচা।এবারের মেলায় বিভিন্ন প্রজাতির বড়ছোট বিভিন্ন প্রজাতির মাছ উঠেছিল এ মেলায়।বেচাকেনাও হয়েছে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে। ব্যবসায়ীদের হিসাব অনুযায়ী, এ মেলায় প্রায় সাড় ৪ থেকে ৫ কোটি টাকার মাছ বিক্রি হয়েছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর মাছের আমদানি বেশি হওয়ায় দামও ছিল ক্রেতাদের নাগালে। মেলায় ২২ কেজি ওজনের কাতলা মাছ ১,৩০০টাকা কেজি এবং ১৭ কেজি ওজনের ব্রিগেড মাছ ১,০০০ টাকা কেজি দরেবিক্রির ডাক শোনা গেছে।মাছ কিনতে আসা ক্রেতারা বলেন, এবার নবান্নের মেলায় প্রচুর মাছ এসেছে, দামও মোটামুটি সহনীয়। মেলায় মাছ কিনতে আসা এক ক্রেতা বলেন ৬ কেজি ওজনের কাতলা মাছ কিনেছি ৫৫০ টাকা কেজি দরে, আর ব্রিগেড মাছ ৫০০টাকা কেজিতে। আরেক ক্রেতা  জানান, মনে হচ্ছে দাম একটু বেশি। আমি ৮ কেজি ওজনের কাতলা মাছ কিনেছি ৬৫০ টাকা কেজিতে।মাছের মেলার সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে কথা হয় সিওঅফিস বাসস্ট্যান্ড মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক ও বিসমিল্লাহ মৎস্য আড়ৎ-এর পরিচালক দের সঙ্গে।
তিনিরা বলেন, এবাজারে ৫টি আড়ৎ রয়েছে। অনেক দিন ধরেই নবান্ন উপলক্ষে এখানে বড়মাছের মেলা বসে। রুই, কাতলা, চিতল, ব্রিগ্রেট সিলভার,কার্ফু,পাঙ্গাশসহ বিভিন্ন প্রজাতির বড় বড় মাছ এখানে ওঠে। ক্রেতা-বিক্রেতাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকি।সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও আলম মৎস্য আড়ৎ-এর পরিচালক আবু বক্করসিদ্দিক আলম বলেন, প্রতিবছরই আমাদের ঐতিহ্যবাহী এই মাছের মেলার পরিধি বাড়ছে। এ বছর মাছের আমদানি উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি হওয়ায় দামছিল সহনীয়। তবে পর্যাপ্ত জায়গার অভাবে আমরা ক্রেতা-বিক্রেতাদের জন্যপর্যাপ্ত সুবিধা দিতে পারিনি। তিনি আরও বলেন, উপজেলা ও পৌর প্রশাসন যদি একটি উপযুক্ত আড়তের জায়গা বরাদ্দ করে দিতেন, তাহলে আমরা আরও সুশৃঙ্খলভাবে মেলা পরিচালনা করতে পারতাম। একই সঙ্গে বহু বছরের ঐতিহ্য অক্ষুন্ন রাখা সম্ভব হতো। নবান্ন উৎসবকে ঘিরে দুপচাঁচিয়ায় এই মাছের মেলা শুধু বেচা কেনার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং এটি এখানকার সকল উপজেলা বাসির বসবাসকারী মানুষেরঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও উৎসবের অন্যতম বহিঃপ্রকাশ এমনটাই মনে করছেন স্থানীয়রা।

Hiçbir yorum bulunamadı


News Card Generator