close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

নাটোরের বড়াইগ্রামে জামাইয়ের সন্ধানে শাশুড়ির পুরস্কার ঘোষণা..

Belhaj Badhon avatar   
Belhaj Badhon
****

মেয়ে ও এক বছরের নাতনীকে রেখে পালিয়েছে জামাই। যাবার সময় জুয়েলারী দোকানের ৬০ ভরি রুপা ও অপর এক মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে গেছে সে। এখন ছেলেকে গুম করার অভিযোগে থানায় গেছে জামাইয়ের মা, আর হারানো রুপা ফিরিয়ে দিতে উপর্যুপরি চাপ দিচ্ছেন জুয়েলার্সের মালিক। সব মিলিয়ে দিশেহারা অবস্থা শাশুড়ির। তাই বাধ্য হয়ে প্রতারক জামাইয়ের সন্ধান পেতে রীতিমত পুরস্কার ঘোষণা করেছেন তিনি। শুক্রবার এ ঘটনা ঘটেছে নাটোরের বড়াইগ্রামে।

প্রতারক মেয়ে জামাইয়ের সন্ধান পেতে উপজেলার জোনাইল বাজারে অজস্র মানুষের সামনে প্রকাশ্যে ১০ হাজার টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছেন শাশুড়ি আনোয়ারা বেগম। প্রতারক ওই জামাইয়ের নাম সিয়াম হোসেন (২৪)। সিয়াম পাবনার চাটমোহর উপজেলার দোলন গ্রামের কিরন আলীর ছেলে। আনোয়ারা জোনাইল বাজারের জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী। এর আগে আনোয়ারার মেয়ে আলো খাতুন বড়াইগ্রাম থানায় স্বামী সিয়াম হোসেনের নামে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

আনোয়ারা বেগম বলেন, "চার বছর আগে আমার মেয়ে আলো খাতুন (২২) এর সাথে দোলন গ্রামের কিরণ আলীর ছেলে সিয়াম হোসেনের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। তাদের সিনথিয়া খাতুন (০১) নামের একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই মেয়ে ও জামাই আমার বাড়িতে থাকত এবং জোনাইল বাজারের আহসানের জুয়েলারী দোকানে কাজ করতো। গত রমজান মাসে সে জুয়েলারী দোকান থেকে ৬০ ভরি রুপা নিয়ে পালিয়ে যায়। এ সময় স্থানীয় একটি মেয়েকেও সঙ্গে নিয়ে গেছে বলে জানতে পেরেছি।"

এদিকে, সিয়ামের মা তার ছেলেকে গুম করা হয়েছে বলে আমার (আনোয়ারা) এবং জুয়েলারী দোকান মালিক আহসানের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছেন।

তিনি আরও বলেন, "আমরা গরীব মানুষ। নাতনী ও মেয়েকে নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছি। নাতনী বাবার জন্য কান্নাকাটি করে। জুয়েলারী দোকান মালিক জামাইয়ের নেয়া রুপা ফিরিয়ে দেয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করছে। আবার তার মা অভিযোগ করছেন। সব মিলিয়ে মহা যন্ত্রণায় পড়েছি। কিন্তু তাকে কোথাও খুঁজে পাচ্ছি না। তাই বাধ্য হয়ে জামাইয়ের সন্ধান পেতে ১০ হাজার টাকা পুরস্কার দেয়ার ঘোষণা দিয়েছি।"

প্রতারক সিয়ামের মা রওশনা বেগম বলেন, "আমার ছেলেকে গুম করে এখন নাটক করছেন বিয়ান (আনোয়ারা)। দ্রুত আমার ছেলের সন্ধান দিতে হবে।"

বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম সারওয়ার হোসেন বলেন, "লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।"

Walang nakitang komento


News Card Generator