নাজমুল হোসেন শান্তর টেস্ট পরিসংখ্যান

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
শ্রীলঙ্কার কাছে সিরিজ হার, ব্যর্থতা আর রেকর্ডের মাঝে অধিনায়কত্ব ছাড়লেন শান্ত। জয়ের হার, ব্যাটিং পরিসংখ্যান ও লজ্জার হার—সব মিলিয়ে এক মিশ্র অধ্যায়ের পরিসমাপ্তি।..

কলম্বো টেস্টে ইনিংস ও ৭৮ রানে লজ্জাজনক হার—এতেই শেষ হলো নাজমুল হোসেন শান্তর অধিনায়কত্বের অধ্যায়। গলে ড্র হওয়া প্রথম ম্যাচের পর দ্বিতীয়টিতে বড় ব্যবধানে হারায় সিরিজ ১-০তে হারল বাংলাদেশ। ব্যর্থতার ছাপ স্পষ্ট, আর সেই ধাক্কাতেই অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়ালেন শান্ত।

১৪টি টেস্টে নেতৃত্ব দিয়েছেন শান্ত। এর মধ্যে জয় এসেছে মাত্র ৪টিতে, হার ৯টি, আর ড্র একটি। জয়ের হার ২৮.৫৭ শতাংশ—যা তিন বা ততোধিক ম্যাচে নেতৃত্ব দেওয়া বাংলাদেশি অধিনায়কদের মধ্যে সর্বোচ্চ। সংখ্যায় কম হলেও গুণে তিনি ছিলেন সফল, বিশেষ করে পরিসংখ্যান বলছে তাই।

২০২৩ সালে পাকিস্তান সফরে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ২-০ ব্যবধানে জয় ছিল শান্তর অধিনায়কত্বের সেরা কীর্তি। এটিই ছিল তার নেতৃত্বের সেরা অর্জন, যা দীর্ঘদিন মনে রাখবে বাংলাদেশ ক্রিকেট।

তবে সমানতালে লজ্জারও উদাহরণ আছে। ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের কাছে টেস্ট ম্যাচ হার ছিল শান্তর নেতৃত্বের এক কালো অধ্যায়। যদিও দ্বিতীয় ম্যাচ জিতে সিরিজ হার এড়ায় টাইগাররা, তবুও সেই হার সহজে ভুলে যাওয়ার নয়।

শান্তর অধীনে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠে একটি ঐতিহাসিক জয়ও এসেছে। মজার বিষয় হলো, শান্ত ও সাকিব আল হাসান দুজনেই টেস্টে চারটি করে জয় পেয়েছেন। এই হিসেবে তারা যৌথভাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জয়ী অধিনায়ক। সবার ওপরে রয়েছেন মুশফিকুর রহিম, যার নেতৃত্বে এসেছে ৭টি জয়।

পরিসংখ্যান: নেতৃত্বের তালিকায় শান্ত কোথায়?

  • মুশফিকুর রহিম: ৩৪ ম্যাচ

  • সাকিব আল হাসান: ১৯ ম্যাচ

  • হাবিবুল বাশার: ১৮ ম্যাচ

  • মোমিনুল হক: ১৭ ম্যাচ

  • নাজমুল হোসেন শান্ত: ১৪ ম্যাচ

নেতৃত্ব সংখ্যায় শান্ত আছেন ৫ম স্থানে। কিন্তু জয়ের গড় অনুসারে তিনিই সেরা—এটি নিঃসন্দেহে প্রশংসাযোগ্য।

অধিনায়ক হিসেবে ১৪ টেস্টে শান্ত করেছেন ৯০৬ রান। তার গড় ৩৬.২৪, সেঞ্চুরি ৩টি ও হাফ সেঞ্চুরি ২টি। ব্যাটিং গড় অনুসারে তিনি রয়েছেন তৃতীয় স্থানে।

  • মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ (৪ টেস্ট): গড় ৫৯.৪৪

  • মুশফিকুর রহিম: গড় ৪১.৪৪

  • নাজমুল হোসেন শান্ত: গড় ৩৬.২৪

অর্থাৎ, ব্যাট হাতে শান্ত দায়িত্বশীল ছিলেন—এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই।

নাজমুল হোসেন শান্তর টেস্ট নেতৃত্বে ছিল সাফল্য ও ব্যর্থতার মিশ্র এক যাত্রা। পাকিস্তান সিরিজ জয়ের মতো উজ্জ্বল অধ্যায় যেমন ছিল, তেমনি জিম্বাবুয়ের কাছে হারের মতো হতাশাও ছিল। ব্যাট হাতে নিজের সামর্থ্যের প্রমাণ দিয়েছেন, জয়ের হারে নতুন রেকর্ড গড়েছেন।

অধিনায়কত্ব ছাড়লেও, শান্তর নেতৃত্ব স্মরণীয় থাকবে তার পরিসংখ্যান আর সাহসী সিদ্ধান্তের জন্য। এখন দেখা যাক—পরবর্তী অধ্যায়ে শান্ত কীভাবে নিজের ব্যাটে আরও বড় ভূমিকা রাখেন।

Ingen kommentarer fundet