বিশেষ করে পিঠের চোটের কারণে একসময় প্রায় বছরখানেক মাঠের বাইরে ছিলেন তিনি। যে চোটে একাধিকবার শোনা গেছে, আর একবার হলে হয়তো শেষই হয়ে যাবে বুমরাহর ক্যারিয়ার।
তবে বুমরাহ কখনও মুখে কিছু বলেননি। চুপচাপ লড়াই করে গেছেন, মাঠে ফিরেছেন, আর প্রমাণ করেছেন—তাঁকে নিয়ে আঁকা অবসরের ছবি ঠিক ছিল না।
তাঁর ফেরার সবশেষ প্রমাণ হেডিংলি টেস্ট। যেখানে দুর্দান্ত বোলিংয়ে প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ডকে মাত্র ৬ রানের লিডে আটকে রাখেন তিনি। পাঁচ উইকেটের ম্যাজিকাল স্পেলে ১৪তম বারের মতো ইনিংসে ৫ উইকেট তুলে নেন এই ডানহাতি পেসার। শুবমান গিলের নেতৃত্বাধীন ভারত তৃতীয় দিন শেষে ৯৬ রানে এগিয়ে আছে, হাতে ৮ উইকেট।
দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন বুমরাহ। সেখানেই সমালোচকদের উদ্দেশে খোলাসা করেন নিজের ভাবনার কথা। ৩১ বছর বয়সী এই পেসার বলেন,
"আমি সব সময় ভারতের হয়ে খেলতে চেয়েছি। নিজের ওপর বিশ্বাস রেখেই সব সংস্করণে খেলেছি। আমি বরাবরই ‘না’ শুনে এসেছি। প্রথমে বলেছে, খেলতে পারব না। এরপর বলল, বড়জোর ছয় মাস টিকব। তারপর বলল আট মাস। এসব শুনেই আমি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১০ বছর কাটিয়ে দিয়েছি, আইপিএলে খেলছি ১২-১৩ বছর ধরে।”
সমালোচনা বা সংবাদমাধ্যমের লেখালেখি নিয়ে তিনি বলেন, "মানুষ আমাকে নিয়ে কী বলছে, কী লিখছে, সেটা আমার নিয়ন্ত্রণে নেই। আমি বুঝি দেশে ক্রিকেট কতটা জনপ্রিয়। শিরোনামে আমার নাম থাকলে পাঠক বাড়ে, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু আমি এসবকে গুরুত্ব দিই না। কারণ আমি যদি ওদের কথা ভাবি, তাহলে সেগুলো বিশ্বাস করা শুরু করব। আমাকে নিজের ওপর বিশ্বাস রাখতে হবে, নিজের মতো করে চলতে হবে। অন্যদের মতো করে নয়।”
তবে বুমরাহর ফর্ম যেমন ভারতের জন্য আশীর্বাদ, তেমনি চিন্তার কারণও। অনেকেই মনে করছেন, ভারতের বোলিং আক্রমণ এখন অতিমাত্রায় বুমরাহনির্ভর। টানা খেলার চাপ কমাতে সিরিজে তাঁকে দুই ম্যাচ বিশ্রামে রাখার কথাও উঠেছে।
এই প্রসঙ্গে বুমরাহ বলেন, “প্রত্যাশার চাপ কখনও কখনও অতিরিক্ত বোঝা হয়ে উঠতে পারে। আমি সেটা বহন করতে চাই না। রাতে নিজেকে প্রশ্ন করি, আমি কি মাঠে নিজের সেরাটা দিয়েছি? যদি উত্তর হ্যাঁ হয়, তাহলে নিশ্চিন্তে ঘুমাতে যাই।”