মুক্তাগাছায় অগ্নিকাণ্ডে ৬ টি বসতবাড়ি পুঁড়ে ছাই,অভিযোগের তীর বিএনপির নেতার দিকে ## ..

Md Sohel Rana avatar   
Md Sohel Rana
ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় বসতবাড়িতে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে ৪ টি বসতঘরে থাকা নগদ টাকা ও আসবাবপত্র পুঁড়ে ছাই হয়ে গেছে। ভূক্তভোগীদের দাবি অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কারসহ প্রায় ১৫ লাখ টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। 

ভূক্তভোগী পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,উপজেলার দাওগাঁও ইউপির বালিয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ৭০ বছরের বৃদ্ধা রহিমা,ইসমাইল,আলম,সূরুজ আলী,আব্দুর রাজ্জাকের বসতঘরে সোমবার ভোরে আগুন লাগিয়ে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। ঘরের আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে দেখে স্থানীয়রা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়। মুক্তাগাছা ফায়ার সার্ভিসের ৪ টি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার আগেই ঘরের আসবাবপত্র নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার পুঁড়ে ছাই হয়ে যায়।

অভিযোগের তীর দাওগাঁও বটতলা বাজার এলাকার বিএনপি নেতা আব্দুল মুনসুর ও তার ছেলে আরিফের দিকে ছুড়ে ভূক্তভোগী পরিবারের লোকজন ও স্থানীয় একাধিক বিএনপির নেতাকর্মীরা জানান,মুনসুরের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে  জমির দখল নিয়ে একই এলাকার ইসমাইল ফরাজী,আলম,সূরুজ আলী ও আব্দুর রাজ্জাকদের বিরোধ চলে আসছে। ওই বিরোধের জেরে ঈদের দুইদিন পর সূরুজ আলীর মাথায় কোপ দিয়ে আহত করে হাসপাতালে পাঠাই মুনসুরের ছেলে আরিফ বাহিনীর সদস্য পুড়াবাড়ি এলাকার সোহেল ও আশাদুল। পরবর্তীতে সূরুজ আলীর পরিবারের লোকজন বিএনপি নেতা মুনসুরকে একা পেয়ে কুপিয়ে জখম করে। এতে মামলা হয় এবং গ্রেফতার এড়াতে বাড়িছাড়া সূরুজ আলী ও রাজ্জাকের পরিবারের লোকজন। ভূক্তভোগী পরিবার ও স্থানীয়দের ধারণা,পরিশোধ পরায়ণ হয়ে মুনসুরের ছেলে আরিফ তার বাহিনী লোকজন বাড়িতে লুটপাট করে ৩ টি গরু নিয়ে যাওয়ার সময় বসতবাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিয়ে যায়। আরিফের জবানবন্দি নিয়ে ঘটনার সুষ্ঠুভাবে তদন্ত করলে সবকিছুই বেরিয়ে আসবে। 

আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত সূরুজ আলী জানান,পূর্বশত্রুতার জেরে মুনসুর আলী ও তার ছেলে আরাফাতের বাহিনীর লোকজন কুপিয়ে হাসপাতালে পাঠাই। ওই ঘটনায় উল্টো আমাদের নামে মামলা দিয়ে হয়রানির করছে তারা। বাড়িতে পুরুষ শূন্য থাকাই মুনসুরের লোকজন এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে মনে হচ্ছে। ঘটনার সঠিক বিচার দাবি করছি। 

আরও একজন ক্ষতিগ্রস্ত বৃদ্ধা রহিমা অশ্রুসিক্ত কন্ঠে বলেন,ঘরে আগুন না দিয়ে,আমাদের মেরে ফেলো তোমরা। আমাদের সব শেষে। কি অপরাধ ছিল আমাদের? এমন ক্ষতি কিভাবে করতে পারলে তোমরা?

মুনসুরের প্রতিবেশি একজন বিএনপির সমর্থক যুগান্তরকে জানান,রাজ্জাক ও সূরুজ আলীদের গুষ্ঠিতে আ.লীগ ও বিএনপির সমর্থক রয়েছে। তবে ৫ আগস্টের পর মুসনুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতির ভাই এবং নিজে ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি হয়ে যা শুরু করছে তা বিএনপির জন‍্য লজ্জার। তার কারণে বিএনপির ইমেজ নষ্ট হচ্ছে। এখনই তাকে থামানো দরকার। 

অভিযোগ অস্বীকার করে ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আব্দুল মুনসুর  জানান,আমি অসুস্থ আছি। এবিষয়ে আমি কিছুই জানিনা। তবে তার বিরুদ্ধে ওঠা চাঁদাবাজি,ভাঙচুর ও বিএনপির নেতাদের নির্যাতন প্রসঙ্গে জানতে চাইলে,অভিযোগের প্রসঙ্গ এড়িয়ে আপনার (প্রতিবেদক)সঙ্গে সরাসরি দেখা হলে কথা হবে বলেই ফোন কলটি কেটে দেন।  

মুক্তাগাছা ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা মো.রকিবুল ইসলাম জানান,৪ টার দিকে খবর পেয়ে দুইটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে নেই। অগ্নিকাণ্ডের কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্তের পর জানা যাবে। 

এ প্রসঙ্গে মুক্তাগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামাল হোসেন জানান,অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে রওনা হয়েছি। এ বিষয়ে ভূক্তভোগী পরিবার চাইলে মামলা হবে। 

 

 

نظری یافت نشد


News Card Generator