শ্বশুরবাড়ির লোকজনের দাবি,সে আত্মহত্যা করেছে। দীর্ঘদিন ধরে মানসিক সমস্যা থাকায় ডাক্তারের চিকিৎসা নিচ্ছেন লাবনী।
উপজেলার খেরুয়াজানী ইউপির গড়বাজাইল গ্রামের পশ্চিম পাড়ায় শনিবার দুপুর দেড়টার দিয়ে এ ঘটনা ঘটে।
লাবনী ওই এলাকার ঢাকায় চাকরিরত আলমগীর হোসেনের স্ত্রী এবং একই ইউপির সৈয়দ গ্রামের মৃত আজাহারুল ইসলামের মেয়ে।
মেয়ের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,পাঁচ বছর পূর্বে হাফেজ আলমগীর সঙ্গে লাবনীর বিয়ে হয়। সংসারের অভাব ঘোচাতে নিজের স্ত্রীকে বাড়িতে রেখে ঢাকার একটি প্রাইভেট ফার্মে চাকরি নেয় আলমগীর। বিয়ের পাঁচ বছর পেরিয়ে গেলেও তাদের সংসারে কোন সন্তান জন্ম না নেওয়ায় মানসিকভাবে সমস্যায় পড়েন লাবনী। ডাক্তারের পরামর্শে চিকিৎসাও নিচ্ছেন তিনি। শনিবার দুপুর দেড়টার দিকে সবার অগোচরে নিজ ঘরের আড়ার সঙ্গে ওড়না পেচিয়ে গলায় ফাঁস নেন তিনি। পরিবারের লোকজন ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে চিৎকার করলে প্রতিবেশীরা এসে তাকে উদ্ধার করেন। তবে এর আগেই তার মৃত্যু হয়। পরে পুলিশ ও তার স্বামীকে খবর দেওয়া হয়।
প্রতিবেশী আশরাফুল ইসলাম বলেন, বিয়ের পর থেকে আজও কখনো ঝগড়া হতে দেখিনি। আজ কি দিয়ে যে কি হল আল্লাহ্ আর ওই ভালো জানেন?
গৃহবধূ লাবনীর মা সেলিনা বলেন,লাবনীর শ্বশুরবাড়ির লোকজন খুবই ভালা মানুষ,জামাই তো ফেরেশতার মত। মাথার সমস্যার কারণে আমার মনে হচ্ছে ও নিজের ইচ্ছায় আত্মহত্যা করেছে।
মুক্তাগাছা থানার ওসি রিপন চন্দ্র গোপ বলেন,আত্মহত্যার খবর পেয়েছি এবং ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করলে আসল ঘটনা জানা যাবে। বিষয়টি নিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।