close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

মুছাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ - সরজমিন তদন্তে উপজেলা নির্বাহী অফিসার..

Abdullah al Mamun avatar   
Abdullah al Mamun
আবদুল্লাহ আল মামুন, কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী)

 

নোয়াখালী জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের বাংলা বাজারে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী মুছাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল ফারহা মিলনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ উঠেছে।

আজ সোমবার (২৮ এপ্রিল ) সকাল ১১টায় উত্থাপিত অভিযোগের ভিত্তিতে সরজমিন তদন্তে যান কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) তানভীর ফরহাদ শামীম। এসময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক নুরুল আলম শিকদার, মুছাপুর ইউনিয়ন প্রশাসক এবং এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

তদন্তকালে প্রধান শিক্ষক আবুল ফারহা মিলন বিগত বছরের আয়-ব্যয়ের হিসাব যথাযথভাবে উপস্থাপন করতে ব্যর্থ হন। কাগজপত্রে প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকার বিভিন্ন সামগ্রী ক্রয়ের হিসাব দেখালেও বাস্তবে তার কোনো সুনির্দিষ্ট প্রমাণ দেখাতে পারেননি। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের প্রশ্নেরও সন্তোষজনক উত্তর দিতে অক্ষম হন তিনি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানভীর ফরহাদ শামীম বলেন, "বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে সরজমিনে এসে দেখি কাগজপত্রের সাথে বাস্তবতার কোনো মিল নেই। খুব শিগগিরই একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে এবং প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।"

এ বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক নুরুল আলম শিকদার বলেন, "মুছাপুর উচ্চ বিদ্যালয় ইউনিয়নের অন্যতম সেরা এবং প্রাচীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। কিন্তু আজ সরেজমিনে এসে দেখি প্রতিষ্ঠানটির ন্যূনতম প্রশাসনিক নথিপত্র পর্যন্ত নেই। পাঁচ লক্ষ টাকার ব্যয়ে দেখানো বিভিন্ন সামগ্রী যেমন সেক্রেটারি টেবিল, বুকসেলফ, পাঠক টেবিল ইত্যাদির বাস্তব অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি।"

স্থানীয় এলাকাবাসীর অভিযোগ, আবুল ফারহা মিলন রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে প্রধান শিক্ষকের পদে আসীন হয়েছেন, যদিও তার মধ্যে দায়িত্ব পালনের যোগ্যতা নেই। আওয়ামী লীগের নাম ব্যবহার করে বিভিন্ন অনিয়ম চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। এলাকাবাসী আরও অভিযোগ করেন, ৫ আগস্টের পর বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ইউএনও হলেও প্রধান শিক্ষক নিজ ইচ্ছামতো বিদ্যালয় পরিচালনা করছেন। কোনো রেজুলেশন ছাড়াই ছুটি মঞ্জুর করছেন ও ব্যয় নির্বাহ করছেন, যা বিদ্যালয় পরিচালনার নিয়মের সম্পূর্ণ পরিপন্থী।

এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক আবুল ফারহা মিলন সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সরাসরি কোনো উত্তর না দিয়ে বলেন, "তদন্ত হবে, তখন দেখা যাবে।"

এলাকাবাসী বিদ্যালয়ের অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে দ্রুত কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।

Ingen kommentarer fundet


News Card Generator