স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলার চওড়াপাড়া গ্রামের শামসুজ্জামানের ছেলে উজ্জ্বলের সাথে কয়েক বছর আগে বিবাহ হয় চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামের কল্পনার সাথে। এর আগেও উজ্জ্বল আরেকটি বিবাহ করে এবং পরেও ফারজানা নামে আরেকটি মেয়েকে বিবাহ করেন। কয়েকদিন আগে দ্বিতীয় স্ত্রী কল্পনা বেগম (২৫) স্বামী উজ্জলকে ফোন দিয়ে সোনারগাঁও থেকে কৃষ্ণপুর গ্রামে আনে। সেই বাড়িতে বসবাস করছিল উজ্জ্বল। সোমবার রাত ২টার সময় ঘুমন্ত অবস্থায় স্ত্রী কল্পনা ধারালো অস্ত্র দিয়ে স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলে। উজ্জ্বল রক্তাক্ত ও অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকলে তার মোবাইল ফোন থেকে তৃতীয় স্ত্রী ফারজানাকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি ফোন করে বিষয়টি জানায়।
তাৎক্ষণিকভাবে ফারজানা ছুটে গিয়ে উজ্জ্বলকে উদ্ধার করে চাঁদপুর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল রেফার করেন।
এ বিষয়ে মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রবিউল হক বলেন,এটি অত্যন্ত মর্মান্তিক ও স্পর্শকাতর ঘটনা। স্বামী উজ্জ্বলকে তার দ্বিতীয় স্ত্রী কল্পনা কৌশলে বাড়িতে এনে শরীরের সংবেদনশীল অঙ্গ কেটে দেয় বলে অভিযোগ রয়েছে। ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। বিষয়টি তদন্তসাপেক্ষ, দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ছবি ক্যাপশন:
স্বামী মো. উজ্জ্বল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।



















