close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

মৌলভীবাজার-ত্রিপুরা সীমান্তে কৃষকদের সংঘর্ষ, বাংলাদেশি নিহত: উত্তেজনা বৃদ্ধি

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
মৌলভীবাজার ও ত্রিপুরা সীমান্তে ভারতের এবং বাংলাদেশের কৃষকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় এক বাংলাদেশি নাগরিক নিহত হয়েছে। রবিবার, ২৬ জানুয়ারি, মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া
মৌলভীবাজার ও ত্রিপুরা সীমান্তে ভারতের এবং বাংলাদেশের কৃষকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় এক বাংলাদেশি নাগরিক নিহত হয়েছে। রবিবার, ২৬ জানুয়ারি, মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলায় ঘটিত এই মারাত্মক সংঘর্ষে বাংলাদেশের আহাদ আলি নামে একজন কৃষক প্রাণ হারান। বিজিবি ও বিএসএফের পক্ষ থেকে এই ঘটনা নিশ্চিত করা হয়েছে এবং এখন বিষয়টি তদন্তাধীন। সংঘর্ষের সূচনা: জমির বিরোধ থেকে সহিংসতায় এদিন সকাল সাড়ে ৮টার দিকে, ভারতের উনকোটি জেলার কৈলাসহর এলাকার দুই ভারতীয় কৃষক তাদের চাষের জমিতে গিয়ে দেখতে পান, তাদের পান ও ধান ক্ষেতে কেউ চুরি করেছে। এ ঘটনায় তাদের মধ্যে বাংলাদেশের কৃষকদের সঙ্গে তর্কবিতর্ক হয়। এই তর্কের তীব্রতা বাড়তে থাকে এবং বিকেল বেলা সংঘর্ষে রূপ নেয়। ভারতীয় কাঁটাতারের বেড়ার কাছে জমির তর্ক করতে গিয়ে একপর্যায়ে দুই দেশের কৃষকরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে একে অপরকে আক্রমণ করে। বিজিবি জানায়, সংঘর্ষের সময় বাংলাদেশি কৃষক আহাদ আলি গুরুতর আহত হন এবং তাকে দ্রুত সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়, কিন্তু পরবর্তীতে তিনি সেখানে মৃত্যুবরণ করেন। বিএসএফ জানায়, তাদের পক্ষে দুজন ভারতীয় কৃষকও আহত হন এবং বর্তমানে তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। পারিবারিক কলহ ও জমির বিরোধের কারণে উত্তেজনা বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, নিহত এবং আহত দুই পক্ষের সদস্যরা একে অপরের আত্মীয় এবং দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ চলে আসছিল। এই পরিস্থিতি কেবল উত্তেজনা এবং সংঘর্ষের জন্ম দিয়েছে। সীমান্তে এই ধরনের সহিংসতা কৃষকদের মধ্যে জমি নিয়ে আরও বড় সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে, যা দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন এক সমস্যা হিসেবে দেখা দিতে পারে। এদিকে, বিএসএফ এবং বিজিবি দুই পক্ষের মধ্যে এই সংঘর্ষের বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছে। বিজিবি ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কাছে এর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানায়। সংঘর্ষের পরবর্তী পরিস্থিতি ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক এ ঘটনার পর পরই কুলাউড়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং বিজিবি এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। বিএসএফও জানিয়েছে, তাদের পক্ষ থেকে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের শনাক্ত করা হবে। তবে সীমান্তে এই ধরনের উত্তেজনা ভবিষ্যতে আরও সহিংসতার জন্ম দিতে পারে, যা দুই দেশের সম্পর্কের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বাংলাদেশের কৃষকদের জমি নিয়ে যে সমস্যা দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে, তা সীমান্তে সংঘর্ষের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ ধরনের সহিংসতার কারণে দুই দেশের মধ্যে বৈরিতা সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, যা দুই দেশের সাধারণ জনগণের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। সমাধানের দিকে পদক্ষেপ সীমান্তে কৃষকরা যারা এই সংঘর্ষের শিকার হয়েছেন, তাদের জন্য সরকারগুলো দ্রুত সমাধান বের করার তাগিদ দিয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধরনের সংঘর্ষ বন্ধ করতে হলে, সীমান্তে নিয়মিত যৌথ আলোচনার আয়োজন এবং শান্তিপূর্ণ সমাধান নিয়ে কাজ করতে হবে। জমির বিরোধ এবং সীমান্ত সমস্যা সমাধানের জন্য দুই দেশের পক্ষ থেকেই কার্যকর উদ্যোগ প্রয়োজন, যাতে ভবিষ্যতে এমন সহিংসতা আর না ঘটে। এমন পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের উন্নয়ন এবং সীমানা বিরোধ সমাধানের জন্য উভয় দেশকে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য।
לא נמצאו הערות


News Card Generator