close
ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!
ভারতের মণিপুর রাজ্যে ভয়াবহ এক ঘটনা ঘটেছে, যেখানে সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের (CRPF) এক সদস্য তার দুই সহকর্মীকে গুলি করে হত্যা করেছেন এবং পরে নিজেই আত্মহত্যা করেছেন। তার গুলিতে আরও আটজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
ঘটনার বিবরণ
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টার দিকে মণিপুরের রাজধানী ইম্ফালের লাম্ফেল পুলিশ ক্যাম্পে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। পুলিশ সদস্য হাবিলদার সঞ্জয় কুমার নিজের সরকারি অস্ত্র ব্যবহার করে সহকর্মীদের উপর গুলি চালান। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন এক কনস্টেবল ও এক সাব-ইন্সপেক্টর।
সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানায়, সহকর্মীদের গুলি করার পর নিজেই নিজের শরীরে গুলি চালিয়ে আত্মহত্যা করেন সঞ্জয় কুমার। অপর সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, এই ঘটনার পরপরই উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছান এবং আহতদের দ্রুত ইম্ফালের রিজিওনাল ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সাইন্সেস (আরআইএমএস) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
কী কারণে এই হামলা?
এখনো পর্যন্ত হামলার সুনির্দিষ্ট কারণ জানা যায়নি। তবে পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, মানসিক চাপে ভুগছিলেন অভিযুক্ত হাবিলদার সঞ্জয় কুমার। সহকর্মীদের সঙ্গে তার কোনো বিরোধ ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখছে তদন্তকারী দল।
নিরাপত্তা বাহিনীর উদ্বেগ
এই ঘটনার পর সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স ও মণিপুর পুলিশ প্রশাসনের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। বাহিনীর মধ্যে চাপ ও মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়টি নতুন করে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছে।
পুলিশের বক্তব্য
স্থানীয় প্রশাসনের এক কর্মকর্তা বলেন, 'এটি অত্যন্ত মর্মান্তিক ঘটনা। আমরা ঘটনার তদন্ত করছি এবং নিহত ও আহতদের পরিবারের পাশে আছি। অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যের মানসিক অবস্থা ও তার গত কয়েকদিনের কার্যক্রম পর্যালোচনা করা হচ্ছে।'
সামাজিক প্রতিক্রিয়া
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মণিপুরের নিরাপত্তা ব্যবস্থার দিকে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে। সাধারণ মানুষ নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে থাকা মানসিক চাপ এবং দায়িত্বশীলতা নিয়ে উদ্বিগ্ন।
শেষ কথা
এই দুঃখজনক ঘটনার প্রকৃত কারণ জানতে তদন্ত চলমান রয়েছে। মানসিক স্বাস্থ্য এবং বাহিনীর অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে সরকার ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো কেমন পদক্ষেপ নেয়, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
没有找到评论