close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

মঞ্চে না উঠেই চলে গেলেন কেন্দ্রীয় নেতা, এনসিপি-র আমতলী পথসভা ঘিরে তীব্র ক্ষোভ!..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
In Amtali, Barguna, central leaders of the National Citizen Party (NCP) left without stepping onto the prepared stage, sparking outrage among local supporters who had waited for hours.

বরগুনার আমতলীতে এনসিপি-র পথসভায় প্রস্তুত মঞ্চে না উঠে পাশ কাটিয়ে চলে গেলেন কেন্দ্রীয় নেতারা। এতে হতাশ ও ক্ষুব্ধ স্থানীয় নেতাকর্মীরা বলছেন, ‘এটা আমাদের প্রতি অসম্মান।

বরগুনার আমতলীতে এনসিপি নেতাদের আচরণে ক্ষোভ ও হতাশা—‘মঞ্চে না উঠেই চলে গেলেন, মানুষকে সম্মান করলেন না’

১৪ জুলাই সোমবার দুপুর ১২টা। বরগুনার আমতলীর বাধঘাট চৌরাস্তায় আয়োজন করা হয় একটি পথসভার। আয়োজনের পেছনে ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। প্রস্তুত ছিল একটি অস্থায়ী মঞ্চ। গরমে ভিজে ঘেমে অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী ও উৎসুক সাধারণ মানুষ দাঁড়িয়ে ছিলেন শুধু একনজর কেন্দ্রীয় নেতাদের দেখতে, তাদের বক্তব্য শুনতে।

কিন্তু দৃশ্যপট বদলে যায়।
যাদের জন্য এত আয়োজন, সেই জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-র কেন্দ্রীয় নেতারা — আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সারজিস আলম, হাসনাত আবদুল্লাহ, তাসনিম জারানাহিদা সারওয়ার নিভা — গাড়ি থেকে না নেমেই মঞ্চের পাশ দিয়ে চলে যান। কেউ একবারও জনতার দিকে ফিরে তাকাননি। নেতারা মঞ্চে ওঠেননি, বক্তৃতা দেননি, এমনকি এক মিনিটের সৌজন্য সম্ভাষণও জানাননি।

স্থানীয় বাসিন্দা আল মামুন বলেন
‘দুপুর ১২টা থেকে দাঁড়িয়ে আছি। ভেবেছি নেতারা আসবেন, আমাদের কথা শুনবেন। অথচ তারা পাশ দিয়ে চলে গেলেন। এটা আমাদের অপমান ছাড়া আর কিছু নয়।’

পথসভায় সাউন্ড সিস্টেম ও ডেকোরেশন কাজ করা ডেকোরেটর ব্যবসায়ী লিটন মিয়া ক্ষোভের সঙ্গে বলেন
‘মঞ্চ প্রস্তুত করেছিলাম কেন্দ্রীয় নেতাদের সম্মানের জন্য। কিন্তু তারা না উঠায় এখন সব গুটিয়ে নিচ্ছি। সময় ও শ্রম দুটোই নষ্ট হলো।’

এক স্থানীয় সাংবাদিক কঠোর ভাষায় বলেন
‘রাজনীতি যদি হয় জনতার মুখোমুখি না হয়ে, তাহলে এসব আয়োজন করে লাভ কী? এতে জনগণের আস্থা হারাবে দল।’

এ ঘটনার পর থেকেই ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে সমালোচনার ঝড়। অনেকেই লিখেছেন,
এই দল যদি এমন দুর্দিনেই মানুষের মুখোমুখি না হয়, ভবিষ্যতে কার পাশে থাকবে? জনতার পাশে না থেকে দূরত্ব রেখে চললে দল জনবিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে।

তবে এনসিপি নেতারা পরবর্তীতে আমতলী ফেরিঘাটে একটি ছোট বক্তব্য রাখেন, যা অনেকের দৃষ্টিতে ছিল দায়সারা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ জানান
‘জেলায় অন্য কর্মসূচি থাকায় তারা মঞ্চে উঠতে পারেননি।

নাহিদ ইসলাম নামের এক কেন্দ্রীয় নেতা সংবাদমাধ্যমকে বলেন
‘জুলাই মাসজুড়ে আমাদের পথযাত্রার মূল আয়োজন জেলায় হওয়ার কথা, সময় সংকটে উপজেলা মঞ্চে উঠা সম্ভব হয়নি।’

এই ‘সময়সংকট’ যদি আগেই জানা ছিল, তাহলে স্থানীয় আয়োজকদের এত বড় আয়োজন কেন? সাধারণ মানুষের মূল্যবান সময়ের কি কোনো মূল্য নেই? দল যদি জনসংযোগের মঞ্চেই উঠতে না পারে, তাহলে রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠবে না কেন?

এই ঘটনা শুধু একটি সভার ব্যর্থতা নয়, এটি একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জনতার দুরত্বের প্রতীক হয়ে উঠেছে। ভবিষ্যতে এনসিপি নেতারা যদি জনসম্পৃক্ততার এই দূরত্ব দূর করতে না পারেন, তাহলে তাদের রাজনীতিতে টিকে থাকাটাই কঠিন হয়ে যাবে।

Geen reacties gevonden