ময়মনসিংহে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে করা মানহানির মামলাটি বাতিল করে দিয়েছেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত। এ রায়ের মধ্য দিয়ে ড. ইউনূস আইনি জটিলতা থেকে মুক্তি পেলেন।
ময়মনসিংহে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে দায়ের করা মানহানির মামলাটি বাতিল করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। এতে করে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন নোবেল বিজয়ী এই অর্থনীতিবিদ দীর্ঘদিন ধরে চলা একটি আইনি জটিলতা থেকে মুক্তি পেলেন।
রোববার, ২৬ জুলাই দেশের সর্বোচ্চ আদালতের আপিল বিভাগ এই রায় প্রদান করেন। বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ মামলাটি শুনানির পর তা বাতিলের ঘোষণা দেন। আদালতের এই রায়ের মাধ্যমে মামলাটি আর কার্যকর থাকলো না।
জানা গেছে, ময়মনসিংহে দায়ের করা ওই মামলাটি দীর্ঘদিন ধরে বিচারাধীন ছিল। মামলার অভিযোগে বলা হয়েছিল, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময় ড. ইউনূসের একটি বক্তব্যে স্থানীয় এক রাজনৈতিক নেতার মানহানি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠে। সে সময় আদালতে মামলা দায়ের করা হয়, যা নিচের আদালত থেকে বিভিন্ন ধাপে উচ্চ আদালতে গড়ায়।
তবে আপিল বিভাগ এ বিষয়ে পর্যবেক্ষণে উল্লেখ করেন, মামলার বিষয়বস্তু ও উপস্থাপিত তথ্য যাচাই করে দেখা যায়, তা অপরাধ হিসেবে বিচারযোগ্য নয়। সেই সঙ্গে মামলার যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন আদালত। সব দিক বিবেচনায় আপিল বিভাগ মামলাটি বাতিলের সিদ্ধান্ত দেয়।
ড. ইউনূসের আইনজীবী আদালতের রায়ের পর বলেন, “এই রায় ন্যায়বিচারের প্রতিফলন। একজন নোবেলজয়ীর বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন ও হয়রানিমূলক মামলা করে তাকে কালিমালিপ্ত করার অপচেষ্টা করা হয়েছিল। আপিল বিভাগের রায়ে সেই ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হয়েছে।”
অপরদিকে, মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী বলেন, “আমরা রায়ের কপি পাওয়ার পর পূর্ণাঙ্গ বিশ্লেষণ করব। এরপর আইনানুগভাবে পরবর্তী করণীয় বিবেচনা করা হবে।”
ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় নানা মামলা ও অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে এই মামলার রায়ে তাঁর বিরুদ্ধে একটি বড় আইনি বাধা দূর হলো বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই রায় শুধু একজন ব্যক্তির নয়, এটি দেশের বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার একটি নজির হিসেবেও ইতিহাসে স্থান করে নেবে।