close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

ম্যানগ্রোভ ইকো-ট্যুরিজম মডেল বাস্তবায়নে যৌথ চুক্তি স্বাক্ষর..

Ranajit Barman avatar   
Ranajit Barman
সুন্দরবন ইকোট্যুরিজম ব্যবস্থাপনায় গুরুত্বপূর্ ঘাটতি পূরণে বেসরকারী চারটি সংগঠন একত্রিত হয়ে চুক্তিবদ্ধ করেছে ইকোট্যুুরিজম মডেল তৈরীতে।..

ম্যানগ্রোভ ইকো-ট্যুরিজম মডেল বাস্তবায়নে যৌথ চুক্তি স্বাক্ষর

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর (সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ সুন্দরবন পৃথিবীর সবচেয়ে ম্যানগ্রোভ বন এবং ইউনোস্কো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান।এটি বাংলাদেশের জন্য পরিবেশ,সংস্কৃতি ও অর্থনীতির দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সুন্দরবনে পর্যটকদের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। তবে এত সম্ভবনা থাকা সত্বেও সুন্দরবন ম্যানগ্রোভ ইকো ট্যুরিজম এখনও ভালোভাবে গড়ে উঠেনি।অনেকক্ষেত্রে পর্যটন কার্যক্রম পরিবেশবান্ধব নয়। এমন কথাগুলো বলছিলেন শুক্রবার  (২৮ নভেম্বর ) সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা প্রেসক্লাবে ম্যানগ্রোভ ইকোট্যুরিজম মডেল বাস্তবায়নের প্রেক্ষাপট এবং যেীথ চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের চুক্তিকৃত সংগঠনের পরিচালকবৃন্দ। তারা আরও বলেন  স্থানীয় মানুষ পর্যটন ব্যবস্থাপনায় অংশ নিতে পারেননা।এর ফলে পরিবেশ দূষণ হয়,বন্যপ্রাণীর উপর বিরুপ প্রভাব পড়ে,সংবেদনশীল ম্যানগ্রোভ এলাকায় চাপ বাড়ে এবং স্থানীয় ও আদিবাসী জনগোষ্ঠী কম সুবিধা পায়। সুন্দরবন ইকোট্যুরিজম ব্যবস্থাপনায় গুরুত্বপূর্ ঘাটতি পূরণে বেসরকারী চারটি সংগঠন একত্রিত হয়ে চুক্তিবদ্ধ করেছে ইকোট্যুুরিজম মডেল তৈরীতে।

শুক্রবার   শ্যামনগর উপজেলা প্রেসক্লাবে ম্যানগ্রোভ ইকো-ট্যুরিজম মডেল বাস্তবায়নে যৌথ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে উপকূলীয় পরিবেশ গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা, সোনার বাংলা ম্যানগ্রোভ ইকো-ট্যুরিজম, সুন্দরবন আদিবাসী মুন্ডা সংস্থা এবং কারাম মুরা ম্যানগ্রোভ ভিলেজ। শ্যামনগর উপজেলা প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত যৌথ চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপকূলীয় পরিবেশ গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মোঃ শাহিন ইসলাম,সোনার বাংলা ম্যানগ্রোভ ইকো-ট্যুরিজমের ম্যানেজিং ডিরেক্টর নাজমুম শাহাদাত পলাশ, সুন্দরবন আদিবাসী মুন্ডা সংস্থার  নির্বাহী পরিচালক কৃষ্ণ পদ মুন্ডা ও কারাম মুরা ম্যানগ্রোভ ভিলেজের পরিচালক মি.গোপাল চন্দ্র মুন্ডা বলেন , সুন্দরবনের বর্তমান পর্যটন ব্যবস্থায় বিশৃঙ্খলা, পরিবেশ ঝুঁকি, স্বচ্ছতার ঘাটতি এবং স্থানীয় মানুষের সীমিত অংশগ্রহণের কারণে একটি টেকসই, বিজ্ঞানভিত্তিক ও কমিউনিটি-নেতৃত্বাধীন মডেল প্রয়োজন। উক্ত প্রেক্ষাপটে ৪টি সংস্থা ম্যানগ্রোভ ইকো-ট্যুরিজম মডেল উদ্ভাবন করেছে। 

উদ্ভাবিত ম্যানগ্রোভ ইকো-ট্যুরিজম মডেলে রয়েছে ইকো-বোট, ইকো-কটেজ, ইকো-গাইড, ইকো-ট্যুরিস্ট ব্যবস্থাপনা, এনটিএফপি (ঘঞঋচ) সেন্টার, জীবনযাত্রা জাদুঘর, আদিবাসী সংস্কৃতি প্রচার, ম্যানগ্রোভ পুনরুদ্ধার এবং জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রা উন্নয়ন। চুক্তির মাধ্যমে পক্ষগুলো ঘোষণা করে তারা এই মডেল বাস্তবায়নে আদিবাসীসহ বন নির্ভর মানুষের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও জীবিকা প্রচার করবে, ম্যানগ্রোভ পুনরদ্ধার, পরিবেশ সংরক্ষণ ও জলবায়ু সহনশীলতা বাড়াবে, সুন্দরবন অঞ্চলের নারী, তরুণ ও প্রান্তিক মানুষের জন্য আয়ের সুযোগ সৃষ্টি করবে এবং স্বচ্ছতা ও দীর্ঘমেয়াদি স্থায়িত্ব নিশ্চিত করবে।

ছবি- শ্যামনগরে ম্যানগ্রোভ ইকো-ট্যুরিজম মডেল বাস্তবায়নে যৌথ চুক্তি স্বাক্ষর

 

没有找到评论


News Card Generator