close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

মিটফোর্ডে ব্যবসায়ী খুন , জড়িতদের ধরতে সক্রিয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, জানালেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
Home Affairs Adviser Jahangir Alam Chowdhury has assured that those involved in the brutal murder of businessman Sohag in Mitford will be swiftly brought to justice. Police have already arrested five ..

রাজধানীর মিটফোর্ডে ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার আশ্বাস দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। এরই মধ্যে পাঁচজন গ্রেফতার হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

 

রাজধানীর মিটফোর্ড এলাকায় আলোচিত ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেফতারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সর্বোচ্চ তৎপরতা চালাচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বলেন, যারা এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডে অংশ নিয়েছে, তাদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। বিচারপ্রক্রিয়া ধীরগতির জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দায়ী করা যাবে না। আমরা আইনের শাসনের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

শনিবার (১২ জুলাই) সকালে ঢাকা জেলা পুলিশ লাইন ও রিজার্ভ ফোর্স কার্যালয় পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন,আমরা চাই সবাই আইন মেনে চলুক। কেউ যেন আইন নিজের হাতে তুলে না নেয়।

এদিকে, শুক্রবার (১১ জুলাই) রাতে মামলার ৯ নম্বর আসামি টিটন গাজীকে (৩২) রাজধানীর একটি স্থানে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যা মামলায় এখন পর্যন্ত মোট পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, আমরা বিভিন্ন সূত্রে তথ্য সংগ্রহ করে একাধিক টিম নিয়ে অভিযান পরিচালনা করেছি। তদন্তে আমরা অনেক দূর এগিয়েছি এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে অন্য আসামিদেরও ধরতে পারব বলে আশা করছি।

প্রসঙ্গত, গত ৯ জুলাই (বুধবার) সন্ধ্যা ৬টার দিকে মিটফোর্ড হাসপাতালের তিন নম্বর গেটের পাশে রজনী ঘোষ লেনে প্রকাশ্যে কুপিয়ে ও মাথায় বড় পাথর দিয়ে আঘাত করে হত্যা করা হয় ব্যবসায়ী সোহাগকে। হত্যাকাণ্ডটি ঘটানো হয় অত্যন্ত নির্মমভাবে এবং প্রকাশ্যে। হত্যার পুরো দৃশ্যটি কাছাকাছি থাকা একটি সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়ে এবং পরে সেই ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওটি ভাইরাল হলে জনমনে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

ভিডিওতে দেখা যায়, কয়েকজন ব্যক্তি মিলে সোহাগকে রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় ফেলে কুপিয়ে ও পাথর দিয়ে মাথায় আঘাত করছে। আশেপাশে উপস্থিত লোকজন আতঙ্কিত হলেও কেউ সাহস করে এগিয়ে যায়নি। পরে পথচারীদের একজনের সহায়তায় সোহাগকে হাসপাতালে নেওয়ার চেষ্টা করা হলেও ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় নিহত সোহাগের পরিবারের পক্ষ থেকে কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়, যেখানে ৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানায়, এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে ব্যক্তিগত শত্রুতা, ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব এবং চাঁদাবাজি-সংক্রান্ত বিষয় থাকতে পারে বলে তারা ধারণা করছে। তদন্তের স্বার্থে সব দিকই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যারা ভিডিওটি ছড়িয়ে দিয়েছেন, তাদেরও ধন্যবাদ দিতে হয়, কারণ এ ধরনের প্রমাণ থাকায় তদন্তে গতি পেয়েছি। আমরা চাই আইন সবার জন্য সমানভাবে কার্যকর হোক এবং অপরাধী যত বড়ই হোক না কেন, তাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।

নিহত সোহাগ ছিলেন স্থানীয় একজন পরিচিত কাপড় ব্যবসায়ী। তার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। স্থানীয় ব্যবসায়ী ও বাসিন্দারা দ্রুত বিচার এবং অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।

Nema komentara