স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছিল—২০০ রান হবে তো? সেই শঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে অবদান রাখলেন এই দুই ব্যাটার। কলম্বো টেস্টের প্রথম দিনে এই জুটি যোগ করেন মূল্যবান ৩৭ রান। তবে ব্যক্তিগত ৩১ রানে মিরাজ ফেরেন বিশ্ব ফার্নান্দোর বলে। পরে নাঈমও ফিরে যান ২৫ রানে।
দিন শেষে ৯ রান নিয়ে ক্রিজে আছেন তাইজুল ইসলাম এবং ৫ রান নিয়ে তাঁর সঙ্গী এবাদত হোসেন। বাংলাদেশের সংগ্রহ ৮ উইকেটে ২২০ রান। আগামীকাল দ্বিতীয় দিনে আবার ব্যাটিংয়ে নামবে টাইগাররা।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। তবে শুরুটা মোটেই ভালো ছিল না। এনামুল হক বিজয় আউট হন মাত্র ১০ বল খেলে, কোনো রান না করেই। আসিথা ফার্নান্দোর বল তার স্টাম্প উপড়ে দেয়। এর আগেই পরপর দুই বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে বারবার বিপদ ডেকে আনছিলেন বিজয়।
প্রথম উইকেট পতনের পর সাদমান ইসলাম ও মুমিনুল হক মিলে ইনিংস মেরামতের চেষ্টা করলেও বেশিদূর এগোতে পারেননি। বাজে শটে আউট হয়ে ফেরেন মুমিনুল, করেন ২১ রান।
এরপর হঠাৎ করেই খেই হারায় বাংলাদেশ। মাত্র সাত বলের ব্যবধানে ফেরেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত এবং ওপেনার সাদমান। শান্ত আউট হন বিশ্ব ফার্নান্দোর বলে, কুশল মেন্ডিসের হাতে ক্যাচ দিয়ে। আগের টেস্টে দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি করা এই ব্যাটার এবার করলেন মাত্র ৮ রান।
ওপরের সারির সেই ধসের মাঝে কিছুটা প্রতিরোধ গড়েন সাদমান, করেন ৪৬ রান। তবে থারিন্দু রত্নায়েকের বলে তিনিও স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন।
দলের রানের চাকা আবার ঘুরতে শুরু করে লিটন দাস ও মুশফিকুর রহিমের ব্যাটে। তারা মিলে একশ রানের গণ্ডি পার করান দলকে। তবে ৫৬ বল খেলে ৩৪ রান করা লিটনকে থামান অভিষেকে খেলতে নামা বাঁহাতি স্পিনার সোনাল দিনুশা। কুশল মেন্ডিসের হাতে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন উইকেটকিপার ব্যাটার।
শেষদিকে কিছুটা প্রতিরোধে ভর করেই প্রথম দিন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৮ উইকেটে ২২০।