বাংলাদেশের মহাসড়কগুলোতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হাইওয়ে পুলিশ সম্প্রতি ১,৪০০ সন্দেহভাজন ব্যক্তির একটি তালিকা প্রস্তুত করেছে, যারা ২০০৫ সাল থেকে মহাসড়কে সংঘটিত ডাকাতির ঘটনাগুলোর সঙ্গে জড়িত বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই তালিকা প্রস্তুতের মাধ্যমে পুলিশ প্রত্যেক সন্দেহভাজনের বাড়িতে গিয়ে তাদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করবে এবং তাদের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করবে।
সাম্প্রতিক সময়ে মহাসড়কে ডাকাতির ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে, বিশেষ করে প্রবাসীদের লক্ষ্য করে। প্রবাসীরা বিমানবন্দর থেকে বাড়ি ফেরার পথে ডাকাত দলের কবলে পড়ছেন। পুলিশের ধারণা, বিমানবন্দরে নামার পর প্রবাসীদের বহনকারী গাড়ির নম্বর কোনো চক্র ডাকাতদের কাছে পৌঁছে দেয়, যা তাদের লুটের শিকার হওয়ার প্রধান কারণ। ডাকাতি প্রতিরোধে হাইওয়ে পুলিশ বিমানবন্দরে একটি পৃথক ডেস্ক স্থাপনের পরিকল্পনা করছে, যেখানে প্রবাসীরা তাদের নিরাপদ যাত্রার জন্য সহায়তা পাবেন। এছাড়া, প্রবাসীদের নিরাপদে বাড়ি পৌঁছাতে একটি হটলাইন নম্বর চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যা আজ থেকে সক্রিয় হবে।
সম্প্রতি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে প্রবাসীদের দুটি গাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সক্রিয় চার সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি মো. হিলাল উদ্দিন ও জেলা ডিবির ওসি মো. আবদুল্লাহর নেতৃত্বে পুলিশ মঙ্গলবার রাতভর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে চার ডাকাতকে গ্রেফতার করে। হাইওয়ে পুলিশের ডিআইজি (অপারেশন) শফিকুল ইসলাম জানান, তালিকাভুক্ত ডাকাতদের বাড়িতে গিয়ে খোঁজ নেওয়া হবে।
পুলিশের এই উদ্যোগ মহাসড়কে নিরাপত্তা বাড়াতে এবং ডাকাতি প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা হচ্ছে। প্রবাসী ও সাধারণ যাত্রীদের নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত করতে পুলিশের এই পদক্ষেপ প্রশংসনীয়।



















