রাজধানীর মহাখালীতে সাততলা বস্তিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (১১ মার্চ) রাত ৩টা ৪০ মিনিটে এ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। ফায়ার সার্ভিসের আটটি ইউনিটের দেড় ঘণ্টার নিরলস প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের তৎপরতা
ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, রাত ৩টা ৪০ মিনিটে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের প্রথম ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে থাকায় পর্যায়ক্রমে আরও সাতটি ইউনিট যোগ দেয় এবং সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দেড় ঘণ্টার মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক মো. ছালেহ উদ্দিন বলেন, "আগুন লাগার খবর পাওয়ার মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যেই আমাদের প্রথম ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায়। পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে থাকলে একে একে আরও সাতটি ইউনিট ঘটনাস্থলে আসে এবং সবাই মিলে দেড় ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই।"
প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা
প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, ট্রান্সমিটার বিস্ফোরণ থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়। ট্রান্সমিটারের নিচে দাহ্য পদার্থ থাকায় আগুন দ্রুত চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে। বস্তির অনেক বাসিন্দা ঘর থেকে বের হওয়ার সময় পাননি, ফলে মালামালও রক্ষা করতে পারেননি। তবে সৌভাগ্যক্রমে সবাই নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে সক্ষম হয়েছেন।
ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো জানা যায়নি
আগুনের কারণে কতটা ক্ষতি হয়েছে, তাৎক্ষণিকভাবে সেটি জানা যায়নি। ফায়ার সার্ভিস জানায়, তদন্ত শেষে অগ্নিকাণ্ডের সঠিক কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে। তবে ক্ষতির পরিমাণ বড় হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
শেষ কথা
মহাখালীর সাততলা বস্তির এই অগ্নিকাণ্ড বাসিন্দাদের জন্য এক ভয়াবহ অভিজ্ঞতা হয়ে থাকবে। তবে ফায়ার সার্ভিসের দ্রুত পদক্ষেপের ফলে বড় ধরনের প্রাণহানির ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়েছে। আগুনের প্রকৃত কারণ উদঘাটনে তদন্ত শুরু হয়েছে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা প্রদানের আহ্বান জানানো হয়েছে।



















