close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

মগবাজারে সেই ছিনতাইয়ের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৪

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
রাজধানীর মগবাজারে ভাইরাল হওয়া ছিনতাইয়ের ঘটনায় অবশেষে গোয়েন্দা পুলিশের জালে ধরা পড়েছে চার অপরাধী। উদ্ধার করা হয়েছে ছিনতাই হওয়া ব্যাগ, টাকা ও অস্ত্র। পেছনে রয়েছে পেশাদার ছিনতাইকারী চক্র!..

রাজধানী ঢাকায় আবারও আলোচনায় মগবাজারের ভয়ঙ্কর ছিনতাইচক্র। মগবাজারের গ্রিনওয়ে গলিতে ঘটে যাওয়া ভাইরাল ছিনতাইয়ের ঘটনায় মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) চমকপ্রদ অগ্রগতি অর্জন করেছে। বৃহস্পতিবার (২৯ মে) সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে চারজন ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে —
 ছিনতাই হওয়া ব্যাগ
 ৯,৬০০ টাকা
 একটি মোবাইল ফোন
 দুটি চাপাতি
একটি সুইচগিয়ার
 একটি মোটরসাইকেল

গ্রেপ্তারকৃত অপরাধীরা হলেন:

  • মো. শামিম (২৪)

  • মো. জীবন ওরফে হৃদয় (২৭)

  • সোহেল রানা (৩৬)

  • মকবুল হোসেন (২৫)


ভাইরাল ভিডিও ও ছিনতাইয়ের নাটকীয়তা

গত ১৮ মে মগবাজারের গ্রিনওয়ে গলিতে ঘটে ছিনতাইয়ের ঘটনা। মুহূর্তেই এর সিসিটিভি ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। জনগণের মধ্যে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয় এই ঘটনা। ফুটেজে দেখা যায়, অপরাধীরা চাপাতি ও মোটরসাইকেল ব্যবহার করে দ্রুতগতিতে ছিনতাই করে পালিয়ে যায়।

এ নিয়ে জোর তৎপরতা শুরু করে ডিবি ও থানা পুলিশ। বিভিন্ন প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণ ও সোর্সের সহায়তায় অভিযানে নামে গোয়েন্দা তেজগাঁও বিভাগ। অবশেষে অপরাধীদের শনাক্ত করে আটক করতে সক্ষম হয় তারা।


কে কী ভূমিকা পালন করেছে?

ডিবি সূত্র জানায়—

  • সোহেল, হৃদয় ও শামীম সরাসরি ছিনতাইয়ে অংশ নিয়েছে।

  • মকবুল হোসেন ছিলেন ছিনতাইয়ের মালামালের ক্রেতা।

চারজনই একটি পেশাদার ছিনতাইকারী চক্রের সদস্য। তারা দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ছিনতাই করত।

এদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক মামলা — যার ফলে তারা পুলিশের ‘ওয়ান্টেড লিস্ট’-এ ছিল বহুদিন ধরে।


অপরাধচক্রের ধরন ও চলাফেরা

ডিবি’র এক কর্মকর্তা জানান, গ্রেপ্তার হওয়া আসামিরা মূলত রাতে সক্রিয় হতো। তারা বিশেষভাবে মোটরসাইকেল ব্যবহার করে দ্রুত আসা-যাওয়া করত। সঙ্গে থাকত ধারালো চাপাতি ও সুইচ গিয়ার, যাতে ভয় দেখিয়ে সহজে ছিনতাই সম্পন্ন করা যায়।

তারা ছিনতাইয়ের পর তাদের নির্দিষ্ট চক্রের ভেতরে মালামাল বেচাকেনা করে, যাতে তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করা যায়।


 আইনি পদক্ষেপ ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা

গ্রেপ্তার চারজনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে চক্রের আরও সদস্যদের নাম বেরিয়ে এসেছে বলে জানিয়েছে ডিবি। পুলিশ এখন ওই সদস্যদেরও ধরতে মাঠে নেমেছে।

ডিবির এক কর্মকর্তা বলেন:

“এই চক্রটি বড় পরিসরে সক্রিয়। এদের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নেওয়া হবে। কেউ ছাড় পাবে না।”


 

এই ঘটনার মাধ্যমে আবারও প্রমাণ হলো—
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা ও প্রযুক্তির ব্যবহার থাকলে অপরাধী যতই চালাক হোক, ধরা পড়তেই হবে।
 জনগণের সহায়তা ও সোশ্যাল মিডিয়ার চাপই এই দ্রুত সফলতা এনে দিয়েছে।

মগবাজারের ভাইরাল ছিনতাই এখন তদন্ত ও আইনি প্রক্রিয়ার পথে — আশা করা হচ্ছে, এই চক্রের শিকড় উপড়ে ফেলতে পারবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

No comments found


News Card Generator